ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে কক্সবাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর শহরের তারাবনিয়ার ছড়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ কালে আরো বেশ কিছু খন্ড খন্ড মিছিল এতে যুক্ত হয়। এসময় মিছিল থেকে শ্লোগান উঠে- হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, বাংলাদেশ ভয় নেই/ ঢাকা না দিল্লি, ঢাকা ঢাকা/ আজাদী না দালালি, আজাদী আজাদীসহ বেশ কিছু শ্লোগান।
পরে মিছিলটি শহরের পুরাতন শহীদ মিনারে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম সুজা উদ্দিন ফিদেল কাস্ত্রোর বিখ্যাত উক্তি ‘জন্মভূমি অথবা মৃত্যু’ এর উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, আমরা এর জন্যই প্রস্তুত। ভারতের সাথে যতো অন্যায্য চুক্তি ও লেনদেন হয়েছে সব প্রকাশ করতে হবে।
সুজা বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কোনো সার্বভৌম রাষ্ট্রের উপর অন্যকোন রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করতে পারেনা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক শাহেদুল ওয়াহিদ বলেন, “ভারত আমাদের তথাকথিত বন্ধু রাষ্ট্র ছিলো, তারপরও বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে তাদের সুবিধা দিয়ে গেছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গেলেও ভারতে বসেই ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।”
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক জুনায়েদ হোসাইন বলেন, ভারত বিরোধী স্ট্যাটাস দেয়ার জন্য ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে হামলা ও হত্যার শিকার হতে হয়েছে আমাদের ভাইদের৷ এখন সময় পাল্টেছে। ফেলানি ও আবরার ফাহাদের মতো আমরাও রক্ত ঢেলে দিতে প্রস্তুত।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক একারামুল হক বলেন, আমরা যেকোনো মুহুর্তে প্রস্তুত। তাই আমাদের ভয় দেখিয়ে উপায় নেই।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক রবিউল হোসেন বলেন, ভারত এখন বাংলাদেশের জনগণের সাথে সরাসরি শত্রুতা করছে। তারা একটি মহলকে খুশি রাখতে গিয়ে এই শত্রুতায় উপনীত হয়েছে।
পাঠকের মতামত