বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে আসছে রোহিঙ্গা। এসব পাচার কাজে জড়িত কতিপয় ব্যক্তি।স্হানীয়রা বলছেন পাচারকারীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এসব কর্মকান্ড চালিত যাচ্ছে।এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ির
ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু জলপাইতলী পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে ১৪ রোহিঙ্গা। পরে স্হানীয় গ্রামবাসী রোহিঙ্গাদের ঘুমধুম বিজিবির নিকট হস্তান্তর করেন।
শুক্রবার দিবাগত রাতে সীমান্ত পিলার ৩৩, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঢুরি নামক স্থানে অনুপ্রবেশ’র জন্য জোড়া হয় অনুমান ২শত রোহিঙ্গা। তাদেরকে অনুপ্রবেশ করাতে বার্মাইয়া মৃত ছৈয়দ আলমের ছেলে জকিরকে জনপ্রতি ৮ হাজার টাকা করে দিয়েছে বলে রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন। তবে ঐদিন সীমান্ত পেরিয়ে তাদেরকে অনুপ্রেবশ করাতে ব্যর্থ হয়।পরের দিন শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বিজিবি’র চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্তের ৩২ নং পিলার দিয়ে অনুপ্রবেশ করালেও স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে সল্প সংখ্যক রোহিঙ্গা আটক হয়। জানা গেছে, আটককৃত বহরে ছোটবড় মিলে দুই পরিবারের ১৪জন রোহিঙ্গা ছিল। পরবর্তী স্থানীয়রা সীমান্তের দায়িত্বরত ঘুমধুম বিওপির জোয়ানদের কাছে সোপর্দ করেছেন।এদিকে সূত্রে জানাগেছে, অনুপ্রবেশকারী ১৪ রোহিঙ্গাকে ঘুমধুমের বাইশপাড়ী সীমান্তে দিয়ে পুশব্যাক করেছে বিজিবি।
এ ব্যাপারে ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকী মুঠোফোন রিসিভ না করার কারনে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য যে, এ পর্যন্ত বিজিবি কর্তৃক পুশব্যাক করা রোহিঙ্গাদের পূনরায় বাইশফাড়ির একটি দালাল চক্র মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পাহাড়ি পথ দিয়ে বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রবেশ করে বলে জানা গেছে।
পাঠকের মতামত