রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে যাত্রীবাহী বাস (চট্টমেট্টাে–ব- ১১- ০৩৭৭) উল্টে ২২ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও হেলপার পালিয়েছে। তবে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মানিকছড়ি এলাকায় সড়ক দূ্র্ঘটনার ঘটনাটি ঘটেছে।
খবর পেয়ে রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
জানা যায়, বাসটি রাঙ্গুনিয়া থেকে রাঙামাটি রাজবন বিহারে পূণ্যকর্ম সম্পাদনের উদ্দেশ্যে ৪০জন পূণ্যার্থীদের নিয়ে যাচ্ছিল।
পরে বাসটি মানিকছড়ি এলাকায় ১টি সিএনজি অটো রিক্সা সাইড দিতে গিয়ে বাস চালকের গাফেলতির কারণে বাসটি মূল সড়কের পাশে উল্টে যায়।
এ সময় বাসযাত্রী বিপুল বড়ুয়া (৪৫), পিতা- শাক্যপদ বড়ুয়া, রুমা বড়ুয়া (৪৫), পিতা-অবনি বড়ুয়া, প্রিয়া বড়ুয়া (৩৫), পিতা রনধীর বড়ুয়া, সেবিকা বড়ুয়া (৩৮), পিতা-সুনীতি বড়ুয়া, সংঘ রত্ন ভিক্ষু (৪৫), মৈত্রী বিহার, রাঙ্গুনিয়া, পিতা- মনকিছ বড়ুয়া, পুষ্পিতা বড়ুয়া (১৬), পিতা তাপস বড়ুয়া, শ্রবনী বড়ুয়া (১১), পিতা সুভাষ বড়ুয়া, ছবি বড়ুয়া (৭২), পিতা বিহারী লাল বড়ুয়া, সুচন্দা বড়ুয়া (৩৫), পিতা অরুন বড়ুয়া, নীলু বড়ুয়া (৪৮), পিতা সুধীর বড়ুয়া, কুমকুম বড়ুয়া (১২), পিতা নির্মল বড়ুয়া, সুদীপা বড়ুয়া (২৬), পিতা সুবাস বড়ুয়া, সৌরভ বড়ুয়া (২০), পিতা তিমির বড়ুয়া, নিতা বড়ুয়া (৫০), পিতা সুনীল বড়ুয়া, তিন্নি বড়ুয়া (২৪), পিতা দয়াল বড়ুয়া, অঞ্জনা বড়ুয়া (৬০), পিতা নিদয় রঞ্জন বড়ুয়া, তিমির বরণ বড়ুয়া (৫৫), পিতা শাক্যপদ বড়ুয়া, রুহু বড়ুয়া (৫০), পিতা অশ্বিনী বড়ুয়া, সুইটি বড়ুয়া (৩৫), পিতা পরিমল বড়ুয়া, সিমান্ত বড়ুয়া (২৭), পিতা প্রনব বড়ুয়া, শংকর দত্ত (৬৫), পিতা হরি কৃষ্ণ দত্ত, শিখা দত্ত (৫৫), পিতা রায়মোহন দত্ত মারাত্মকভাবে আহত হয়। আহত সবাই চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বাসিন্দা।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সংঘ রত্ন ভিক্ষু , সীমান্ত বড়ুয়া ও পুষ্পিতা বড়ুয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। ১১জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে কোতয়ালী থানায় কোন মামলা হয়নি।
পাঠকের মতামত