স্টাফ রিপোর্টার, রামু
কক্সবাজারের রামুতে আর্ন্তজাতিক দাতা সংস্থা ‘ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ’ এর শিক্ষা প্রকল্পের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ও প্রকল্প সমন্বয়কারির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বৃহষ্পতিবার, ২১ নভেম্বর বিকালে উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের মৈষকুম ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন- ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মৈষকুম ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ডাকভাঙ্গা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ভিলেজার পাড়া ও মনিরঝিলে আরও দুটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে কাউয়ারখোপ ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দূর্গম ও অবহেলিত এলাকায় দুই যুগেরও বেশী সময় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। সম্প্রতি কতিপয় দূস্কৃতিকারী বিদ্যালয় নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবুল কালামসহ কুচক্রী মহলটি কয়েকজন বিপথগামী শিক্ষককে উস্কে দিয়ে ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ শিক্ষা প্রকল্পের নিবেদিতপ্রাণ প্রকল্প সমস্বয়কারি মোঃ জুয়েল তালুকদারকে জড়িয়ে দু’শিক্ষিকাকে হেনস্থা করার ভিত্তিহীন ও মিথ্যা অভিযোগে ১০/১২ জন লোক নিয়ে হাস্যকর মানববন্ধন করে সংবাদ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারিরা ইতিপূর্বে স্বৈরাচারি আওয়ামীলীগের কতিপয় নেতা ও বিদ্যালয়ের সাবেক বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক আবুল কালামের ইন্ধনে বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলো। কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মাসুম বিল্লাহ খাঁন ও প্রকল্প সমন্বয়কারি মোঃ জুয়েল তালুকদারের দক্ষ নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ‘ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ’ এর শিক্ষা প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এখানে স্কুল শিক্ষিকাকে হেনস্থা করার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। এরপরও এ ধরনের ভুয়া ও সাজানো গল্প বানিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে এসব বিদ্যালয় বন্ধের ষড়যন্ত্র চলছে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকাবাসী সজাগ রয়েছে। যে কোন মূল্যে ষড়যন্ত্রকারিদের প্রতিহত করা হবে।মানববন্ধন চলাকালে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- স্থানীয় প্রবীন ব্যক্তি নুরুল হক, মো. আবদুল্লাহ, আবদুর রহিম, অভিভাবক ফাতেমা বেগম, মৈষকুম ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া বেগম, সহকারি শিক্ষক আরেফা আকতার, উম্মে সালমা ডেইজী, কুলসুমা আকতার, উম্মে সালমা, জুরমী বড়ুয়া, শিউলী রানী দে, মার্জিয়া বেগম, প্রাক্তন শিক্ষার্থী সৈয়দা মাসনুন আমরিন জিহান, আঁখি আলম নিহা ও ছমুদা বেগম প্রমূখ। মানববন্ধনে দুই শতাধিক অভিভাবক, এলাকাবাসী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।এদিকে মানববন্ধনে অংশগ্রহকারিরা জানান- মানববন্ধনের আগে স্থানীয়দের অংশ না নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে বাধা ও হুমকী দেয়া হয়। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে দলীয় সুপারিশে নিয়োগপ্রাপ্ত পুলিশ কনষ্টেবল সাহাব উদ্দিন বাদল, আকতার কামাল, রাজা মিয়া, জয়নাল আবেদিন, বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম ও সাবেক সহকারি শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে আরও কতিপয় বখাটে স্থানীয় জনসাধারণ, অভিভাবক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সড়কে গতিরোধ করে মানববন্ধনে অংশ না নেয়ার জন্য হুমকী প্রদর্শন করে। এরপরও প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানববন্ধনে অংশ নেন।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ‘ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ’ শিক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ জুয়েল তালুকদার জানান- বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষিকার সাথে অপ্রীতিকর কোনপ্রকার ঘটনা ঘটেনি। এরপরও কতিপয় সুবিধাভোগী ব্যক্তি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। বর্তমানে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় প্রকল্পের শিক্ষা কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। তিনি অহেতুক মিথ্যা অপ্রপ্রচার থেকে বিরত থেকে প্রকল্পের কার্যক্রম আবারও চালু করতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
প্রকাশিত:
নভেম্বর ২১, ২০২৪ ১১:১৩ পিএম
প্রতিনিধি। রামু সেনানিবাসে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ...
পাঠকের মতামত