শহিদুল ইসলাম।
মিয়ানমার থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে উখিয়ার কুতুপালংয়ে অনুপ্রবেশ করলো চাকমা ও বড়ুয়া পরিবারের ৫৬ জন সদস্য।
তার মধ্যেই গত এক সপ্তাহে আগে ১২ জন এবং আজ সোমবার সকালে চাকমা পরিবারের নারী-পুরুষ ও শিশু সহ ৪৪ জন।তারা অনুপ্রবেশ করে বর্তমানে কুতুপালং হিন্দু পাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
আজ সকাল সোমবারে মিয়ানমার রাখাইনের মংডু থানার মেদাই এলাকার নাইও চাকমা(৪৫) বলেন, রাখাইনে রাজ্য আরাকান আর্মি ও সেদেশের সরকার বাহিনীর মধ্যেই ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে।এ ঘটনায় ভয়ে ও আতঙ্কে বাড়ি-ঘরে থাকতে পারিনা। সেখানে ঠিকমত খাবার পাচ্ছিনা।এবং পাহাড়ে লুকিয়ে ছিলাম।তাই সেখানে আর থাকতে না পেরে প্রাঁণ বাঁচাতে আমরা চাকমা সম্প্রদায়ের ১১ পরিবারে ৪৪ জন সদস্য আশ্রয় নেওয়ার জন্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছি।
রাখাইনের মেদাই থেকে আসা বাবুল বড়ুয়া (৪৭) বলেন, গত এক সপ্তাহে আগে মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু এলাকার মেদাই গ্রামে চলমান সংঘাতের কারনে পালিয়ে কুতুপালং ক্যাম্পে চলে আসলাম।আজ সকালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা চাকমা সম্প্রদায়ের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হিন্দু পাড়া ক্যাম্পের পাশে অবস্থান করছি।
এ বিষয়ে উখিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও যারীন তাসনিম তাসিন বলেন, মিয়ানমার থেকে চাকমা ও বড়ুয়া পরিবারের কিছু সদস্য অনুপ্রবেশ করছে,তারা উখিয়ার কুতুপালং হিন্দু পাড়া ক্যাম্পের পাশে অবস্থান করছে বলে জেনেছি। এবং বিষয়টি উর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষকে জানানো হয়েছে।
#####
পাঠকের মতামত