নিজস্ব প্রতিনিধি
কক্সবাজার ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সভাপতি আবুল কাশেম , সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক রাসেল তালুকদার ইউরোপ ভিসা প্রত্যাশীদের পক্ষ থেকে বলেন ,বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট এবং অ্যাম্বেসি কার্যক্রম না থাকায় নাগরিকদের অন্য দেশে যেতে হচ্ছে ভিসার জন্য। তাই বাংলাদেশে ইউরোপীয় দেশগুলোর অ্যাম্বেসি বা কনস্যুলেট স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি ।সাম্প্রতিক ইউরোপ ভিসা প্রত্যাশী কতিপয় ব্যক্তি গনের সাথে আলোচনায় সিডিএফ নেতৃত্ব এই দাবি জানানো হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি ও হেলপ কক্সবাজার এর নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেম বলেন, বাংলাদেশে অ্যাম্বেসি বা কনস্যুলেট না থাকায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ভিসার জন্য বাইরে যেতে হচ্ছে। এতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সময় অপচয় হচ্ছে। আমাদের একটাই দাবি, বাংলাদেশে ইউরোপীয় দেশগুলোর অ্যাম্বেসি বা কনস্যুলেট স্থাপন করতে হবে।
দিল্লিতে অবস্থিত ইউরোপীয় অ্যাম্বেসি বা কনস্যুলেটগুলোয় প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের নাগরিকদের সময়মতো অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে সমস্যা হয়। সঠিক নথিপত্র পাওয়ার পরও ভ্রমণের জন্য ভারত আমাদের ভিসা প্রত্যাখ্যান করছে। যার জন্য ভিসা আবেদন, কনস্যুলার সেবা পেতে সময় লাগছে।কক্সবাজার ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সিডিএফ নেতৃত্ব আশা করে,
বাংলাদেশে যদি সব কার্যক্রম চালু থাকে, তবে দিল্লি যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। এতে করে সময় ও খরচ উভয়ই বাঁচবে, জনগণ উপকৃত হবে, ইউরোপ যাওয়া খরচ কমবে এবং ইউরোপে বেশি বেশি যাবে।স্থানীয় সেবা গ্রহণের মাধ্যমে আবেদনের প্রক্রিয়া আরও দ্রুত ও সহজ হবে, ফলে নাগরিকরা দ্রুত ভিসা ও অন্যান্য সেবা নিতে পারবেন।তাছাড়া বাংলাদেশে সরাসরি অ্যাম্বেসি/কনস্যুলেট কার্যক্রম চালু থাকলে নাগরিকরা সঠিক ও নির্ভুল তথ্য পেতে সক্ষম হবেন এবং কোনও দ্বিধা ছাড়াই সহজে পরামর্শ নিতে পারবেন।এবং স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ থাকবে এবং বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। নতুন সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে সুতরাং সম্মিলিতভাবে আগাতে কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনে।
পাঠকের মতামত