মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া:
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জলদস্যুর গুলিতে মোকাররম নামের এক ট্রলারের মাঝি নিহত হয়েছেন। এ সময় জীবন বাঁজাতে ট্রলারে থাকা অন্য জেলেরা সাগরে ঝাঁপ দেন। তারা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ভোরে বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া চ্যানেলের পশ্চিমে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মোকাররম মাঝি উত্তর ধুরং ইউনিয়নের আজিম সিকদার পাড়া এলাকার মৃত জাফর আলমের ছেলে এবং উত্তর ধুরং ইউপির মহিলা সদস্য(মেম্বার) রহিমা বেগমের স্বামী।ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম জানান, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়ার পশ্চিমে জলদস্যুর কবলে পড়েন একটি মাছ ধরার ট্রলার। এসময় জলদস্যুর গুলিতে মোকাররম মাঝি নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন। ট্রলারে থাকা অন্য জেলেরা নিখোঁজ রয়েছেন।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মহেশখালীর সোনাদিয়ার চ্যানেলের বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে মোকাররম মাঝির মাছ ধরার ট্রলার জলদস্যুর কবলে পড়েন। জলদস্যুরা ওই ট্রলারকে লক্ষ করে গুলি ছুঁড়েন। এতে ট্রলারে থাকা মোকাররম মাঝি গুলিবিদ্ধ হন এবং সাগরে পড়ে যান। অন্য ট্রলারের জেলেরা ভাসমান অবস্থা থেকে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। নিহতের মরদেহ বর্তমানে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছেন।বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, বঙ্গোপসাগরে গভীর সাগরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত একজনের লাশ বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছেন। নিহতের শরীরের বুকের ডান পাশে বগলের নিচে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।###
পাঠকের মতামত