জাহাঙ্গীর আলম।
প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে ২০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে এক মাস ধরে ডাক্তার ও নার্সের কারো দেখা মিলছেনা।ফলে দ্বীপের বাসিন্দারা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত।সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন।
মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান বলেন,দ্বীপের সাড়ে ১০ হাজার মানুষের বসবাস,দ্বীপের মানুষের এক মাত্র চিকিৎসা সেবা দানকারী ২০ শয্যা সরকারি এই হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্স না থাকায় গত এক মাস ধরে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে। হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য একজন কর্মচারী দেখা যায়। দ্বীপের বাসিন্দারা আগে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা পেতো।এখন পুরোপুরি চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে ওই হাসপাতালে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি ভাবে এমবিবিএস ডাক্তার ও নার্স থাকার কথা থাকলেও গত কয়েকবছরে একটি এনজিও সংস্থার মেডিকেল টিমের মাধ্যমে এই হাসাপাতালে চিকিৎসা সেবা ডিলে ঢালা ভাবে চলেছিল।এখন ওই এনজিওদের প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হওয়াতে তারাও চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে চলে গেছেন। দ্বীপ বাসীর জন্য নিয়মিত চিকিৎসা সেবার জন্য সরকারি ডাক্তার ও নার্স খুবই প্রয়োজন।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় রুদ্র বলেন, সেন্টমার্টিনে ২০ শয্যা হাসপাতালে এনজিও সংস্থা ধারা পরিচালিত যে মেডিকেল টিম ছিল,তাদের প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারনে গত মাসের এক তারিখ থেকে ওই মেডিকেল টিমের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।সেন্টমার্টিন ২০ শয্যা হাসপাতালে সরকারি ভাবে মেডিকেল অফিসার সহ ১৫ জনের পদ রয়েছে। তার মধ্যে বর্তমানে ওই হাসপাতালে একজন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারি রয়েছে।
বিগত সময় সরকারি ভাবে ডাক্তারের পোস্টিং হলেও তারা জয়েন্ট করার পরে আবার চলে যান।বর্তমানে ওষুধপত্র ও চিকিৎসা সেবা দিতে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আবহাওয়ার পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে দ্বীপে ডাক্তার পাঠানো হয়।এ বিষয়ে উর্ধতন কতৃর্পক্ষের কাছে জানানো হয়েছে।
পাঠকের মতামত