মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া:
কক্সবাজারের চকরিয়া সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দলিল জালিয়াতি চক্রের মূল হোতাসহ পাঁচজনের নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। গত রবিবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক প্রবাল চক্রবর্তী এই গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা আসামীরা হলেন- চকরিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ফরিদুল ইসলাম, জালদলিল তৈরির মূল হোতা আবদুল হামিদ, জাবেদ আমিন, মানিকপুর এলাকার লামং রাখাইন ও উপচিং রাখাইন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মিফতাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, চকরিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দীর্ঘদিন ধরে কিছু প্রতারক চক্র জালদলিল তৈরি করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিলো। এমন একটা জালদলিল সনাক্ত হলে গত বছরের ১৭ অক্টোবর দলিল লেখক কাজল বড়ুয়া বাদী হয়ে উক্ত দলিলের গ্রহীতা লামং রাখাইন ও উপছিং রাখাইনের বিরুদ্ধে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব দেন।মামলাটি কক্সবাজারের সিআইডি পুলিশ দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে চকরিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ফরিদুল ইসলাম, তার সহকারী আবদুল হামিদ, মানিকপুর এলাকার জাবেদ আমিন, লামং রাখাইন ও উপচিং রাখাইনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে রবিবার ২৭ (অক্টোবর) উল্লেখিত ৫ জনের নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।দলিল লেখক ফরিদুল ইসলাম জালদলিল তৈরি চক্রের সাথে জড়িত নয় উল্লেখ করে জানান, আমার অফিসের সহকারী আবদুল হামিদ আমার সিল দিয়ে ওই নকল দলিল তৈরি করেছিল। বিষয়টি তিনি আইনগতভাবে মোকাবিলা করবেন বলে জানান।চকরিয়া দলিল লেখক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন ও সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জানান, যারা জাল দলিল তৈরি করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে, ওই চক্রের সাথে জড়িতেেদর আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়ার সাব রেজিস্ট্রিার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, যারা জালদলিল তৈরি করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে তারা দেশ ও জাতির শত্রু। ওই প্রতারক চক্র সনাক্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ এবং এই চক্রের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।###
পাঠকের মতামত