আব্দুস সালাম,টেকনাফ (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং রাখাইন পাড়া সংলগ্ন খারাংখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরীর স্কুলে রহস্যজনক আত্নহত্যা করেছে।সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে স্কুলে ঘটেছে এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা।স্কুলের শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলে জানা যায়, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী নাচর পাড়া এলাকার বাসিন্দা হাজী আবু বকরের দ্বিতীয় ছেলে ৩ কন্যা সন্তানের জনক নুরুল আলম (২৭) সে খারাংখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরীর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।প্রতিদিনের ন্যায় সে আজকেও স্কুলে গিয়ে যথা নিয়মে স্কুলের সব কক্ষ খুলেদিয়ে একটি কক্ষের ভিতরে ভিতর থেকে আটকে দিয়ে কে যেন অবস্থান করছিল।এদিকে শিক্ষার্থী, সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকরা এসে তাকে খুঁজে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতেছিল।তাকে নিয়ে সবাই হতভাগ হয়ে আলোচনা করছিল, এমন সময় কিছু শিক্ষার্থী এসে একটি কক্ষের ভিতর থেকে আটকানো অবস্থায়
দেখতে পেয়ে দরজা নক করে দেখে কোন সাড়া শব্দ নেই। ধারণা করেছেন ঐ কক্ষে কেউ যেন আছে।
এক পর্যায়ে দরজা ভেঙ্গে দেখতে পায় দপ্তরী নুরুল আলম রুমের মেঝেতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পড়ে আছে। ধারনা করা হচ্ছে সে চিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করেছে।তার একপাশে তার লিখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়।চিরকুটে লিখা আছে আমার মৃত্যুর জন্য আমার বাবা,মা,আত্নীয় স্বজন ও স্কুল কর্তৃপক্ষের কেউই দায়ী নয়,আমার চাকুরীটা আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী।এমনকি হল চাকুরী কেন মৃত্যুর জন্য দায়ী হবে এই প্রশ্ন এখন সবার মূখে মূখে।এব্যাপারে উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ বেলাল উদ্দিন বলেন,কেন সে আত্নহত্যা করেছে আমার জানা নেই,তবে প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলে এসে দেখি এঘটনা। পরে আমি পুলিশকে খবর দিলে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের
মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। ময়না তদন্ত শেষে রিপোর্ট ফেলে জানা যাবে।
পাঠকের মতামত