প্রতিনিধি :
ফানুস উৎসবে আকাশ রাঙানোর পর এবার কল্প জাহাজ ভাসানোর আনন্দে মেতেছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়।
প্রবারণা উপলক্ষে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কবিতা চত্বর পয়েন্টে জাহাজ ভাসা উৎসবকে ঘিরে আনন্দোচ্ছ্বাসে মেতে উঠে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা।
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের এ উৎসবকে ঘিরে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে জাহাজ ভাসা উৎসবের মাধ্যমে শেষ হয় প্রবারণা উৎসবের। যেখানে সকল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ছুটে আসেন। হয়ে উঠে সম্প্রীতির মিলনমেলা।
এবার কক্সবাজার শহরের দুই রাখাইন পাড়ার ২টি কল্প জাহাজ ভাসানো হয়। গেলো বছর ভাসানো হয়েছিল তিনটি কল্প জাহাজ।
জানা গেছে, মহামতি বুদ্ধ রাজগৃহ থেকে বৈশালী যাওয়ার সময় নাগ লোকের অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন নাগেরা চিন্তা করলেন বুদ্ধপূজার এই দুর্লভ সুযোগ তারা হাতছাড়া করবেন না। সঙ্গে সঙ্গে নাগলোকের ৫০০ নাগরাজ ৫০০ ঋদ্ধিময় ফণা বুদ্ধপ্রমুখ ৫০০ ভিক্ষুসংঘের মাথার ওপর বিস্তার করল। এইভাবে নাগদের পূজা করতে দেখে দেবলোকের দেবতারা, ব্রহ্মলোকের ব্রহ্মরা বুদ্ধকে পূজা করতে এসেছিলেন। সেইদিন মানুষ, দেবতা, ব্রহ্মা, নাগ সবাই শ্বেতছত্র ধারণ করে ধর্মীয় ধ্বজা উড্ডয়ন করে বুদ্ধকে পূজা করেছিলেন। বুদ্ধ সেই পূজা গ্রহণ করে পুনরায় রাজগৃহে প্রত্যাবর্তন করেন। সেই শুভ সন্ধিক্ষণ হচ্ছে শুভ প্রবারণা দিবস।
মূলত চিরভাস্বর এই স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য বাংলাদেশের বৌদ্ধরা বিশেষ করে রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায় প্রবারণা পূর্ণিমায় বাঁকখালী নদীতে স্বর্গের জাহাজ ভাসিয়ে প্রবারণা উদযাপন করে।
পাঠকের মতামত