আব্দুস সালাম,টেকনাফ (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের টেকনাফে অভিযান চালিয়ে অপহরণ চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কচ্ছপিয়া করাচিপাড়ার হাসান আলীর ছেলে পারভেজ মোশারফ (১৯) এবং সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড উত্তর লম্বরীর মনির আহমেদ এর ছেলে নুরুল আফছার (১৯)।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)
মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান,গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ভিকটিম উখিয়া কুতুপালং রেজিষ্ট্রার্ড ক্যাম্পের এমআরসি নং-৬১২৪০, ব্লক-ই, সাইড নং-১ এর নুরুল আমিনের ছেলে মোহাম্মদ হামিম (১৫) কে দুপুরের সময় জুম্মা নামাজের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয়। নামাজ শেষে ভিকটিম বাড়িতে ফেরার পথে অপহরণকারী উখিয়া রত্নাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড কোটবাজারের আলী হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (২৭) এর সাথে দেখা হয়। সেলিম ভিকটিমকে ফুসলিয়ে টেকনাফ থানাধীন শাহপরীরদ্বীপ এলাকায় বেড়াতে নিয়ে যায়। বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলে ভিকটিম বাড়ি না ফিরলে ভিকটিমের মা সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করতে থাকে। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে ৫ অক্টোবর রাত ১১ টার দিকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি তাহার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে অপহৃতের মায়ের মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে জানায় যে তার ছেলে ভিকটিম মোহাম্মদ হামিম (১৫) অপহরণকারীদের নিকট আটক আছে এবং অপহৃতের মুক্তিপণ বাবদ ৭০ হাজার টাকা দাবী করে। তাদের দাবীকৃত মুক্তিপণের টাকা না দিলে অপহরণকারীরা তার ছেলেকে প্রাণে হত্যা করবে মর্মে হুমকি-ধমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা টেকনাফ মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে থানা পুলিশকে তার ছেলের অপহরণের বিষয়টি অবগত করে।
পরবর্তীতে থানা পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান শুরু করেন। গোপন অনুসন্ধান ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অপহরণকারীদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর এর শেষ লোকেশন এর মাধ্যমে অপহরণকারীদের বর্তমান অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশের অভিযানিক টিম ৬ অক্টোবর বিকাল ৫ টায় টেকনাফ থানাধীন টেকনাফ সদর ইউপিস্থ দক্ষিন লম্বরী এলাকার অপহরণকারী ফয়সাল (২৮) এর বসত বাড়ির সামনে উপস্থিত হলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে পুলিশের অভিযানে অপহরণ চক্রের দুই সক্রিয় সদস্য পারভেজ মোশারফ (১৯) ও নুরুল আফছার (১৯) কে গ্রেফতার করা হয়। ভিকটিম মোহাম্মদ হামিম (১৫) কে উদ্ধার করে।
এরপরে ভিকটিমের মা সাবেরা বেগম (৩৫)
এজাহার নামীয় এবং পলাতক আসামীদের অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করলে টেকনাফ মডেল থানার মামলা নং-১৮/৫৪০, তাং-০৭/১০/২০২৪ইং, ধারা-৭/৮/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) রুজু করা হয়।
তিনি আরো জানান,গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত