শ.ম.গফুর:
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে পারিবারিক কলহে এক নারী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।জানাগেছে,বিষপানে আত্মহত্যা করা সাবেকুন্নাহার সাকু (৫২) জনৈক মোহাম্মদ ইসলামের স্ত্রী। মুন্নী নামের (২৫) বছরের একটি কন্যা রয়েছে নিহতের। কন্যা মুন্নী জন্মের পর থেকে স্বামী ইসলামের সহিত আর যোগাযোগ ছিলনা সাবেকুন্নাহার সাকুর।এক কন্যা’কে নিয়ে দীর্ঘ আড়াই যুগের বেশী সময় কাটিয়ে দেন সাকু।একমাত্র কন্যা মুন্নীর সাথে বিয়ে বিয়ে হয় আপন ভাইপো,মৃত কবির আহমদের ছেলে রফিকের। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মুন্নী এবং রফিকের সংসারে অশান্তি চলে আসছিল।এ নিয়ে বহু শালিশ-দরবার হয়েছে।
কন্যা মুন্নীকে নিয়ে খুবই চিন্তিত ছিলেন মা সাবেকুন্নাহার।গত ২ অক্টোবর জামাতা রফিকের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ান। এতে রাগে ক্ষোভে ক্ষেতের জন্য আনা কীটনাশক পান করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সাবেকুন্নাহার।
তড়িঘড়ি করে জামাতা রফিকের পক্ষীয় লোকজন লাশ দাফন কার্য সম্পাদনের চেষ্টা করেও বিষপানের ঘটনা চাউর হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।৩ অক্টোবর সকালে ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করত: ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম শিকদার জানান,তাদের ফুফু দীর্ঘদিন অসুস্থ্যতায় ভোগছিল,অসহ্য যন্ত্রণায় বেগুন ক্ষেতের জন্য আনা কীটনাশক পান করলে মৃত্যু হয়।পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেম করার জন্য নিয়ে গেছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসরুরুল হক জানান,ঘুমধুমে এক নারী বিষপানে আত্মহত্যার ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজারে মর্গে পাঠানো হয়েছে।রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
পাঠকের মতামত