নিজস্ব প্রতিনিধি।
কক্সবাজারের উখিয়ার সিকদার বিলের বটতলী এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় এক স্কুল শিক্ষক গুরুত্বর আহত হয়েছেন।বর্তমানে উখিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত স্কুল শিক্ষক মোহাম্মদ শাহ জাহান বাদী হয়ে উখিয়া থানায় ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের কররছেন। এতে আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করা হয়।
মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) ভোর ৬টার দিকে উখিয়ার মধ্যম সিকদার বিলের বটতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উখিয়ার মধ্যম সিকদার বিল বটতলী এলাকার মৃত মোহাম্মদ কালুর পুত্র শাহজাহান ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া ওয়ালা মৌজার ১৪৫১ নং খতিয়ানের বিএস দাগ ৫৫৪,৫৫৫ আন্দরের ৮ শতক জায়গা দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছিলেন।
তাদের এই ভোগ দখলীয় জায়গাটি একদল দুষ্কৃতকারী রাতের আধারে মাটি ভরাট করে জোরপুর্বক দখল করার অপচেষ্টা করার খবর পেলে প্রকৃত মালিক শাহজাহান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখেন শাহা আলম ও তার কিছু ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী জায়গাটি জবরদখল করতে ধানের ফসল নষ্ট করে গাইডওয়াল নির্মাণ করার পায়তারা চালাচ্ছে।প্রকৃত জায়গার মালিক তাদেরকে জবর দখল না করার জন্য বাঁধা প্রদান করলে তেঁড়ে এসে উল্টো তার উপর হামলা চালায়। মধ্যম সিকদার বিল বটতলীর মোহাম্মদ শাহজাহানের দখলীয় স্বত্ব জায়গা একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার পুত্র শাহ আলম সহ তার সহযোগীরা বিগত কয়েকদিন ধরে জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা করে আসছিলো। মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) সকাল ৬:৩০ মিনিটের সময় শাহ আলম সহ তার সহযোগীরা দা কিরিচ সহ লাঠিসোঁটা নিয়ে জায়গা দখলের জন্য ফসলি জমিতে অবস্থান করেন। এসময় তারা মাটি ভর্তি ডাম্পার এনে ফসল নষ্ট করে মাটি ভরাট করে দালান নির্মাণের চেষ্টা চালায়। এতে বাঁধা প্রদান করলে জমির মালিক মোহাম্মদ শাহাজাহানকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেন তার হাতের আঙ্গুলে হাড় ভাংগা জখম করেন।
আহত অবস্থায় ভুক্তভোগী মোহাম্মদ শাহাজাহানের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে শুরু করলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ ঘটনা নিয়ে কোন মামলা করার চেষ্টা করলে ভুক্তভোগীকে মেরে ফেলার হুমকি দেন হামলাকারীরা ।
পরে ভুক্তভোগী শাহাজাহানকে আহত অবস্থায় এলাকার লোকজন দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী শাহজাহান এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপুর্বক বিচার দাবি করে আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।এ ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শাহ আলমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ আরিফ হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন এজাহার পেয়েছি।তদন্তপুর্বক প্রকৃত অপরাধীদে চিহ্নিত করে মামলাটি রেকর্ড করা হবে।
পাঠকের মতামত