ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪ ৮:৫৫ পিএম

 

সাঈদ পান্থ, বরিশাল
নিয়মের তোয়াক্কা না করে বরিশালের বাবুগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলার সংযোগস্থল মীরগঞ্জ নদীতে চালু করা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের ফেরি পার হওয়া যাত্রীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করছে খেয়াঘাট ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। এতে চরম ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছে দুই উপজেলাসহ আশেপাশের কয়েক উপজেলার প্রায় ৫/৬ লাখ মানুষ।

জানা গেছে, খেয়া পারাপারের জন্য সরকার নির্ধারিত ১০ টাকা করে আদায়ের নিয়ম থাকলেও তারা ফেরিতে পারাপার করা যাত্রীদের কাছ থেকেও জোরপূর্বক অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। সময়কাল ভেদে যাত্রী প্রতি ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে খেয়াঘাট ইজারাদারের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে মীরগঞ্জ ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বাবুগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলা ছাড়াও হিজলা মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ৫/৬ লাখ মানুষ জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রতিনিয়ত এই নদী পার হতে হয়। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে খেয়াঘাট ইজারাদার কর্তৃপক্ষ মুলাদী প্রান্তে টেবিল চেয়ার বসিয়ে ফেরি ব্যবহার করে পারাপার হওয়া যানবাহন নিয়ে আসা যাত্রী ও সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করছেন। কেউ টাকা দিতে না চাইলে তাদের উপর রুঢ় ব্যবহার করছে ইজারাদারের লোকজন।

ফেরির যাত্রী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ফেরিতে আমার কাছ থেকে কোন টাকা নেয়নি। কিন্তু ঘাটে আমাকে ১০ টাকা দিতে হয়েছে। ইজারাদারের লোকজন ফেরিঘাটের পথে চেয়ার টেবিল ও বেঞ্চ দিয়ে আটকে রেখেছে। টাকা না দিয়ে কেউ যেতে পারছে না। কেউ টাকা দিতে না চাইলে তার সাথে খারাপ আচারণ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার থেকে ১০ টাকা করে নিচ্ছে, এর আগে ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা আদায় করেছে তারা।

মুলাদী উপজেলার আরেক যাত্রী দেলোয়ার হোসেন বলেন, একটা ব্যাটারি নিয়ে ফেরি পার হয়েছি কিন্তু ফেরি কর্তৃপক্ষ কোনো টাকা না চাইলেও খেয়াঘাট ইজারাদাররা ঘাটে থামিয়ে ৫০ টাকা আদায় করেছে। এভাবে তারা হাতে কোনো বস্তা থাকলেও তার জন্য টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দিলে নাজেহাল হয়ে হয় তাদের হাতে।

এক ওষুধ প্রতিনিধি বলেন, অফিসের কাজে প্রায় মুলাদী থেকে হিজলা যেতে হয়। কিন্তু এ ঘাটে মোটরসাইকেল নিয়ে ট্রলারে পার হই আর ফেরিতে পারাপার হই খেয়াঘাট ইজারাদারের ১২০ টাকা করে দিতে হয়। এজন্য কোনো স্লিপও দেয় না তারা। যে কারণে অফিসে বিলের ভাউচারও দিতে পারি না।

এ বিষয়ে খেয়াঘাটের ইজারাদার আব্বাস বলেন, আমরা বরিশাল জেলা পরিষদ থেকে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা দিয়ে এক বছরের জন্য ঘাট ইজারা নিয়েছি। আমাদের সাথে ফেরি বিভাগের কোনো সম্পর্ক নেই। এই ঘাটে যাত্রীদের পারাপারের জন্য ট্রলার রয়েছে, যাত্রীরা ট্রলারে পারাপার হোক বা ফেরিতে পারাপার হোক ঘাটের টোল দিতে হবে।

অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাঝে মাঝে অনেক রাত হয়ে গেলে বকশিশ হিসেবে ট্রলার চালকরা ৫/১০ টাকা বেশি নিতে পারে।

এ বিষয়ে বরিশাল জেলা পরিষদের প্রশাসক মোঃ সোহরাব হোসেন (অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, সার্বিক) বলেন, খেয়াঘাট ইজারাদা দেয়া হয়েছে, তার মানে যারা খেয়ায় পারাপার হবে তারা টাকা দিবে। কিন্তু ফেরির যাত্রীদের কাছ থেকে কেনো টাকা তুলবে। যদিও ফেরির যাত্রীদের কাছে থেকে টাকা আদায়ের কোনো নিয়ম নেই। যদি তারা এরকম করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ##

 

পাঠকের মতামত

কক্সবাজার টু সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচলের অনুমতি

         কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী কেয়ারী সিন্দাবাদ নামক একটি জাহাজকে চলাচলের অনুমতি দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।   ...

প্রথম আলো অফিসের সামনে আন্দোলনকারীদের অবস্থান

         দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা বয়কটের আন্দোলনের অংশ হিসেবে আন্দোলনকারীরা আবারও পত্রিকাটির অফিসের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। ...

ঘুমধুমের ভুট্টো মেম্বারের প্রত্যয়নে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে গরু পাচার!

          বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চোরাচালানের অভয়ারণ্য ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে পাচার করে আনা অবৈধ ...