আরফাত হোসেন চৌধুরী::
উখিয়ার জালিয়াপালং সোনার পাড়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সায়েদ হোসেন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে। সে চবি’র এলএলবিতে অধ্যায়নরত ছাত্র। আহত শিক্ষার্থী সায়েদ হোসেন সোনার পাড়ার মোনাফ মার্কেটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শফিউল আলমের ছেলে।
শনিবার বিকাল ৩ টায় সোনার পাড়া রেজু ব্রীজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কোটা আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য গত ৩ আগস্ট ২০২৪ ইংরেজি চট্রগ্রাম থেকে উখিয়া আসে সায়েদ হোসেন।
আন্দোলন শেষে দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হওয়ায় পড়ালেখার উদ্দেশ্যে আজ বিকাল ৩ টায় চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়।
রেজু গাড়ী যানজটে আটকা পড়লে পথিমধ্যে হামলার উদ্দেশ্যে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা ৮-১০ জনের একটি দল অবস্থান নেয়।
হামলায় নেতৃত্ব দেন জিসান হোসেন (১৯)। সে দৌড়ে এসে কিছু বুঝে না উঠার আগেই গাড়িতে বসে থাকা সায়েদ হোসেনের উপর হামলা করে গুরুতর আহত করে। এ সময় সায়েদ হোসেনের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় সায়েদ হোসেনকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে আহত শিক্ষার্থীর পিতা শফিউল আলম বলেন, ছেলে বাড়ি থেকে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার জন্য বের হওয়ার ৩০ মিনিট পর একটি নাম্বার থেকে ফোন করে বলে আমার ছেলেকে হামলা করে একদল সন্ত্রাসী চলে গেছে। আমি ঘটনাস্হল থেকে ছেলেকে উদ্ধার করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়।
তিনি এও বলেন, এ ঘটনায় জড়িত ঘাটঘর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী নুরুল কাদেরের ছেলে জিসান হোসেন (১৯), নুরুল কাদের (৪০) পিতা মৃত: আবুল হোসেন, আলমগীর(৩০) পিতা আজিজুর রহমান, আরো ৮-১০ জন অজ্ঞাত আসামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়ার জন্য উখিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জিসান হোসেনের নেতৃত্বে নিয়মিত চাঁদা দাবি, জমি দখল, সাগরে মাছ ডাকাতি, পর্যটকদের হয়রানির করা হয়। সে সবসময় কক্সবাজার শহরের এক বড় ভাইয়ের নাম বিক্রি করে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে উখিয়া থানা ওসি তদন্ত শফিকুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের উপর হামলার অভিযোগ পেয়েছি। অপরাধীদের দ্রুত হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঠকের মতামত