ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করা ৮ শহীদ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়দা প্রদান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে ছাত্র-জনাতা ঐক্য সমাবেশের আয়োজন করে জেলা জামায়াতে ইসলামী।
জেলার চার উপজেলার বাসিন্দা ঢাকায় অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী ও চাকুরিজীবীসহ নিহত মোট ৮ জনের পরিবারের হাতে নগদ দুই লাখ করে তুলে দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাপ পরওয়ার। নিহতদের মধ্যে দুজন শিক্ষার্থী, দুজন চাকুরিজীবী, দুজন শ্রমিক, একজন ব্যবসায়ী ও একজন ভাড়ায় গাড়ি চালাতেন।
নগত অর্থ প্রদান ও ছাত্র-জনাতা ঐক্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাপ পরওয়ার বলেন, এ রক্ত ঝরা ইতিহাস জাতির কাছে যুগযুগ ধরে মাইল ফলক হিসেবে থাকবে। জাতি এটা দিয়ে শিক্ষা নিবে শেখ হাসিনা কিভাবে হায়েনার মতো মানুষের উপর নির্যাতন, নিষ্পেশন, শোষন চালিয়েছিলো। গুম, খুন, অপহরণ, আয়নাঘরের মাধ্যমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছিলো হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে। সেই গণ অভিশাপে এবং আন্দোলনের মুখে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, দেশের ক্লান্তি লগ্নে ছাত্ররাই তাজা রক্ত দিয়ে দ্বিতীয়বারে দেশ স্বাধীন করেছে। আমরা ওই সব শহীদ পরিবারের পাশে আছি। যারা সন্তান হারিয়েছে, স্বামী হারিয়েছে, ভাই হারিয়েছে তাঁরা হাহাকার না করে মৃত্যু অনিবার্য সেটা মানতে হবে। বুকের কষ্টকে পাথর চাপা দিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। যাতে শহীদদেরকে আল্লাহ জান্নাতের উচ্চমাকাম দান করেন। আপনারা (অভিভাবক) সৌভাগ্যবান, আপনার সন্তানরা শাহাদাত বরণ করেছেন। আপনিও গর্বিত শহীদ পরিবারের সদস্য।
জেলা জামায়াতের আমীর এডভোকেট হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে শমাবেশে বক্তব্য দেন, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট মুয়াজজম হোসেন হেলাল, পিরোজপুর সাইদী ফাঊন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামীম সাঈদি, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট শাহাদাত হোসেন, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাবেক নেতা শেখ নেয়ামুল করীম ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যক্ষ ফরিদুল হকসহ আরো অনেকে।
পাঠকের মতামত