বিশেষ প্রতিনিধি।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আজ গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে ছাত্র গণ অভ্যূত্থানে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহতদের কবর জিয়ারত ও তাদের পরিবারের সাথে সাক্ষাত করেন।
তিনি গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর উপজেলার বনগ্রামে ছাত্র শহীদ আরাফাত মুন্সি, ছাত্রশহীদ বাসুদেবপুরে শহীদ সাবিদ হোসেন, গঙ্গারামপুরে ভ্যানচালক বাবু মোল্লার কবর জিয়ারত, পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং পরিবারের সাথে সাক্ষাত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাদেরকে সমবেদনা জ্ঞাপন ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন। এসময়
বড়ইতলা বাসস্ট্যান্ড, বনগ্রাম, উজানী বাসুদেবপুর ও ডিগ্রীকান্দিতে স্বতঃস্ফুর্ত সমাবেশে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ছাত্র গণ আন্দোলনে গণ হত্যা চালিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে। গণ হত্যার দায়ে অবশ্যই শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার হবে। নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে, দুর্ণীতি লুটপাট করে শেখ হাসিনা শুধু গোপালগঞ্জ নয়, সমগ্র বাংলাদেশের কলংকে পরিণত হয়েছেন। তার সমগ্র শাষনামল ছিলো কলঙ্কজনক অধ্যায়।
তিনি বলেন, হাসিনা ভারতে পালিয়ে থেকে ভারতের সরকারকে বাংলদেশের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আকস্মিক ভয়াবহ বন্যার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ভারতের ডম্বুর এবং গজলডোবা বাঁধ খুলে দেয়ায় বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে লাখ লাখ মানুষের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নষ্ট হয়ে গেছে। ভয়াবহ এই মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেও ভারত নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছে। ভারতীয় মিডিয়ার ভারতের বাধ খুলে দেয়ায় বাংলাদেশে বন্যার কারণ হিসেবে উল্লেখ করলেও ভারত সরকার তা অস্বীকার করছে। অভিন্ন নদীর পানি প্রবাহে প্রতিবেশী দেশ নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী পানি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পাশ^র্বর্তী দেশের স্বার্থকে বিপন্ন করছে। কেন জানি ভারত বাংলাদেশের মানুষ, তাদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য জীবন—যাপনের প্রতি উদাসীন। বাংলাদেশের মানুষের বাঁচা—মরাকে তারা কখনোই আমলে নেয় না। উদ্দেশ্য সচেতনভাবেই ডুম্বুর বাঁধের গেইট খুলে দেয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশের মানুষ মনে করে। বাংলাদেশ প্রশ্নে ভারত কখনোই ন্যায়নীতির নির্দেশ গ্রাহ্য করেনি। তিনি বলেন, ভারত শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের মাধ্যমে বাংলাদেশে আধিপত্য বিস্তার করেছিল। তারা ভারতের স্বার্থে বাংলাদেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়েছে । তিনি বলেন, ছাত্র জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পতন ঘটালেও পতিত স্বৈরাচার, গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে ভারতে অন্যায়ভাবে আশ্রয় দেয়া, পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই বাধ খুলে দিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার পানিতে প্লাবিত করাসহ সার্বিক বিবেচনায় ভারত সরকার তা সহ্য করতে পারছেনা বলে মানুষ মনে করে। তিনি শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের উস্কানিমূলক তৎপরতা সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন গোপালগঞ্জে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সদস্যদের ওপর আঘাত করে আওয়ামী লীগ গোপালগঞ্জের মানুষকে কলঙ্কিত করেছে। অথচ এই ঘটনা গোপালগঞ্জবাসী প্রত্যাখ্যান করেছে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান, ড্যাবের ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা.কে এম বাবর, মুকসেদপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম।খান,তারিকুল ইসলাম রাজু, জেলা আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম।আহ্বায়ক এডভোকেট আবুল খায়ের,এডভোকেট সেলিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক সাগর মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত