আব্দুস সালাম টেকনাফ +কক্সবাজার)
কক্সবাজার টেকনাফ উত্তর বাহারছড়া ইউনিয়নস্থ নোয়াখালীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ লক্ষ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারীকে আটক করেছে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ অতিঃ পুলিশ সুপার ও
সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া)
মোঃ আবুল কালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
আটককৃত ব্যক্তি হলেন,টেকনাফ সদর ইউনিয়নের
১নং ওয়ার্ড রাজারছড়ার মৃত মফজ্জল আহমদের ছেলে মোঃ হোসেন (৩১)।
তিনি জানান, বুধবার (১৪ আগস্ট)ভোররাতে
র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, টেকনাফ থানাধীন বাহারছড়া ইউনিয়নস্থ ৯নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ রোড সংলগ্ন নোয়াখালীপাড়া এলাকার বাঘঘোনা ঘাটের পূর্ব পাশে মেরিন ড্রাইভ সড়কের উপর কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্যসহ ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, সিপিসি-১, টেকনাফ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল উক্ত স্থানে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে মাদক কারবারীগণ পালানোর চেষ্টাকালে মোঃ হোসেন নামে এক মাদক কারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয় এবং তার অপর দুই সহযোগী কৌশলে দ্রুত পালিয়ে যায়। ধৃত আসামী’কে জিজ্ঞাসাবাদে তার ও পলাতক আসামীদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ও পলাতক আসামীদের হেফাজতে থাকা সাদা রংয়ের প্লাস্টিকের বস্তা থেকে সর্বমোট ২ লক্ষ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। ধৃত মাদক কারবারী জানায়, সে এবং পলাতক আসামীরা মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য। উক্ত মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত চক্রটি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন কৌশলী পন্থা অবলম্বন করে তারা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবত সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট টেকনাফে নিয়ে আসে এবং নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে রাখে। পরবর্তীতে চক্রটি আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার লক্ষ্যে অত্যন্ত চতুরতার সাথে টেকনাফ ও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে থাকে।
তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ আটক এবং পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ টেকনাফ সদর ও বাহারছড়া কেন্দ্রিক একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট ইয়াবার বিশাল বিশাল চালাব পাচার করে আসছে। এই সিন্ডিকেটের অন্যতম হলেন, টেকনাফ সদরের হাবিরছড়ার মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে নুরুল আমিন ও সহোদর মোঃ হাসান,একই এলাকার মৃত মফজ্জলের ছেলে মোঃ হোছনসহ ৮/১০ জনের একটি সিন্ডিকেটে জড়িত। আটককৃত মোঃ হোসেনকে দ্রুত রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরো অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে সচেতন মহল দাবি করেন।
পাঠকের মতামত