ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৪ ১১:৩৭ পিএম , আপডেট: আগস্ট ১১, ২০২৪ ১১:৪৪ পিএম

আলাউদ্দিন, উখিয়া—

শিক্ষার্থীদের আঁকিবুঁকি ও বাহারি রঙের আলপনায় সেজেছে উখিয়ার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ঘিরে রক্তাক্ত জুলাইকে গ্রাফিতির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে দেয়ালে দেয়ালে। শিক্ষার্থীরা জানান দিচ্ছেন, বিপ্লবের রেশ এখনো কাটেনি তাদের।

রোববার (১১ আগস্ট) উখিয়ার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা গেছে, দলবেঁধে শিক্ষার্থীরা তুলে ধরছেন আন্দোলনের নানা স্মৃতিপট।

দেখা যায়, বেলা ১০টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয় ও শহিদ মিনার-ঘেরা দেয়ালে আঁকা হয় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের গৌরবময় নানা গ্রাফিতি।

শহিদ হওয়া রংপুরের আবু সাঈদ, কক্সবাজারের ওয়াসিম আকরাম, মুগ্ধর ‘পানি লাগবে, পানি’ আহ্বানের ছবি, রক্তাক্ত মানচিত্র, পতাকা, আঙুলের রক্তিম ছাপ ও নানান প্রতিবাদী শব্দ-সংবলিত বাক্য লেখা হয় দেয়ালে দেয়ালে।

কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক লাগোয়া শহিদ মিনারের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে উত্তরে উখিয়া প্রেসক্লাবের ফটক পর্যন্ত দেয়ালজুড়ে দেখা যায় অঙ্কনের নান্দনিকতা। এ ছাড়া শহিদ মিনারের সম্মুখে অবস্থিত সরকারি ভবনের দেয়ালজুড়ে লেখা হয় বিভিন্ন স্লোগান। ভবনটির একটি অংশে লিখে দেওয়া হয় ‘শহিদ ওয়াসিম আকরাম ভবন’।

নতুন বাংলাদেশ; স্বাধীনতা এনেছি, সংস্কারও আনব; অন্যায় শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতার জন্ম দেয়; ৩৬শে জুলাই; ৫২ দেখেনি, ২৪ দেখেছি; কেউ ঘুষ চাইলে কানের নিচে বসিয়ে দেবেন; ইউনাইটেড উই স্ট্যান্ড, ডিভাইডেড উই ফেইল; জেন-জি; নাও উই ক্যান ফ্লাই লাইক বাটারফ্লাই; লেটস রিবিল্ড আওয়ার ন্যাশনস ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার ‘বউত দিন হাইয়্যো, আর ন হাই্যয়ো’-সহ বিভিন্ন প্রতিবাদী বাক্য ও স্লোগান চিত্রিত হয়।

বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা এতে অংশ নেন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, এসবের মধ্য দিয়ে আন্দোলনে শহিদদের স্মরণ করা হচ্ছে। যারা রক্ত দিয়েছেন, তাদের স্মৃতি ধরে রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ সময় তারা বৈষম্য, সহিংসতা, দুর্নীতি ও অপকর্মমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার শপথ করেন এবং মাতৃভূমিকে রক্ষার অঙ্গীকার করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানভীর হোসেন বলেন, যেকোনো যৌক্তিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের পাশে আছে উপজেলা প্রশাসন। কোনো সহযোগিতা চাইলে, সেটি তাদের দেওয়া হচ্ছে। জনগণের স্বার্থে ছাত্রদের কাজ করতে উৎসাহ প্রদান করেন তিনি।

বিভিন্ন গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন ছাড়াও এদিন শিক্ষার্থীরা উখিয়া থানার রোড পরিচ্ছন্ন করেন। এদিন সৌন্দর্য বর্ধনের স্বার্থে অপরিকল্পিতভাবে বসানো কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার সাইনবোর্ড উপড়ে ফেলা হয় শহিদ মিনার এলাকা থেকে।

এর আগে, গত কয়েকদিন সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভিযান করেন শিক্ষার্থীরা।

কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের শাসন থেকে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এর পরই শিক্ষার্থীরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছেন। নানা কাজ নিজেরা হাতে নিয়েছেন। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, বাজার তদারকি ও দেয়ালে দেয়ালে গ্রাফিতি করে নান্দনিকতার পাশাপাশি আন্দোলনের স্মৃতি তুলে ধরছেন তারা।

পাঠকের মতামত

সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা

         ফ্যাসিবাদবিরোধী সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে আগামী এক সপ্তাহ ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ...

কক্সবাজার টু সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচলের অনুমতি

         কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী কেয়ারী সিন্দাবাদ নামক একটি জাহাজকে চলাচলের অনুমতি দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।   ...

প্রথম আলো অফিসের সামনে আন্দোলনকারীদের অবস্থান

         দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা বয়কটের আন্দোলনের অংশ হিসেবে আন্দোলনকারীরা আবারও পত্রিকাটির অফিসের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। ...

ঘুমধুমের ভুট্টো মেম্বারের প্রত্যয়নে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে গরু পাচার!

          বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চোরাচালানের অভয়ারণ্য ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে পাচার করে আনা অবৈধ ...