ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২৪ ১২:২০ এএম , আপডেট: আগস্ট ৯, ২০২৪ ১২:২৩ এএম

একযোগে কাজ করছে শিক্ষার্থী, ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও সেনাবাহিনী

আলাউদ্দিন, উখিয়া—

ছাত্রদের হাত ধরে দেশের আমূল পরিবর্তন ঘটছে। দেশের পুনর্গঠন ও সংস্কার চলছে। নতুন রূপ দেখা যাচ্ছে সড়কখাতে।

উখিয়া উপজেলার প্রধানসড়কে দেখা গেল এক অনন্য দৃশ্য। পুলিশশূন্য উখিয়ায় যানজট নিরসনে ট্রাফিকপুলিশের ভূমিকায় একযোগে কাজ করছে শিক্ষার্থী, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার-সদস্যরা। অপরদিকে মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও হাইওয়ে পুলিশের ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিনভর এই চিত্র দেখা গেছে।

কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কস্থ উপজেলার মরিচ্যা, কোর্টবাজার, উখিয়া সদর-স্টেশন, কুুতুপালং, থাইংখালী, পালংখালী স্টেশনে যানজট নিরসন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ছন্দ মিলিয়ে কাজ করছেন সকলে। এ সময় যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়েও বাধা দিচ্ছেন ছাত্ররা। জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে করা হয় মাইকিং।পাশাপাশি ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারে নেমে পড়েন তারা।

ফলত, পূর্বের চেয়ে উখিয়ার প্রধানসড়কে সুশৃঙ্খল-অবস্থা বিরাজ করছে। যানচলাচলে আগের মতো বিশৃঙ্খল-অবস্থা দেখা যাচ্ছে না। ট্রাফিকের আইন মেনে গাড়ি চালাতে বাধ্য হচ্ছেন চালকেরা। এ ছাড়াও বাজার মনিটরিংয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন স্টেশনে টোকেন-বাণিজ্যরোধে কাজ করছেন ছাত্ররা।

এ সময় রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন উখিয়ার সাংবাদিকসমাজের একাংশ।

এর আগেও গত বুধবার উখিয়ার বিভিন্ন স্টেশনে পরিচ্ছন্নতা-অভিযান পরিচালনা করেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, পুলিশহীনতায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণ বেড়ে যায়। রোহিঙ্গাদের বিচরণরোধে উখিয়া কলেজসংলগ্ন গেইটে প্রধানসড়কে এপিবিএনের অনুপস্থিতিতে টহলচৌকি বসিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে চিহ্নিত করে রোহিঙ্গাদের নামিয়ে ফেলছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পরে জড়ো করে দলে দলে সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হচ্ছে রোহিঙ্গাদের। উখিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনেও বিভিন্ন গাড়ি ও বাইক চালকদের হেলমেট তদারকি করতে দেখা গেছে সেনাসদস্যের।

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানভীর হোসেন বলেন, ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। কোথাও কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেনাবাহিনী সেটির সমাধান করছে। এ ছাড়া তারা বিভিন্ন জায়গায় টহলচৌকি বসিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করছে। অপরদিকে ছাত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করে সড়কে যানজট নিরসনে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।

এদিকে, দীর্ঘ ১৬ বছর পর উখিয়া কলেজের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করল উপজেলা ছাত্রদল। প্রথম দিনেই তারা ব্যানার-হাতে উখিয়া কলেজের সরকারিকরণের দাবি তুলেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালের দিকে ক্যাম্পাসে ফেরেন তারা।

এ সময় তারা অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সরকারিকরণের দাবিতে কলেজের শিক্ষকেরা ছাত্রদলের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং সৌহার্দপূর্ণ আচরণ ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রিদুয়ানুর রহমান বলেন, কলেজে আর কোনো বৈষম্য চলতে দেওয়া যাবে না। ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি থাকবে, তবে সবাইকে সমান চোখে দেখা হবে।

কলেজ সরকারিকরণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথমেই সরকারি হওয়ার কথা ছিল উখিয়া কলেজ। কিন্তু ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজকে সরকারি কলেজে রূপ দেন। নতুন সরকারে যারা আসবেন, তাদের প্রতি উখিয়া কলেজের সরকারিকরণের দাবি রাখেন এই ছাত্রদলনেতা।

এ সময় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আলী হোসেন সুমন, ওমর ফারুক; উখিয়া কলেজের সাবেক আহ্বায়ক ইমরানুল হক রানাসহ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক সাংসদ, হুইপ ও কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীর হাত ধরে ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠা হয় উখিয়া কলেজ।

পাঠকের মতামত

সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা

         ফ্যাসিবাদবিরোধী সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে আগামী এক সপ্তাহ ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ...

কক্সবাজার টু সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচলের অনুমতি

         কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী কেয়ারী সিন্দাবাদ নামক একটি জাহাজকে চলাচলের অনুমতি দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।   ...

প্রথম আলো অফিসের সামনে আন্দোলনকারীদের অবস্থান

         দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা বয়কটের আন্দোলনের অংশ হিসেবে আন্দোলনকারীরা আবারও পত্রিকাটির অফিসের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। ...

ঘুমধুমের ভুট্টো মেম্বারের প্রত্যয়নে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে গরু পাচার!

          বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চোরাচালানের অভয়ারণ্য ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে পাচার করে আনা অবৈধ ...