ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৪ ১০:৫০ পিএম , আপডেট: জুলাই ৩১, ২০২৪ ১০:৫০ পিএম

 

শহিদুল ইসলাম।

টানা ভারী বর্ষণ পাহাড়ী ঢল ও সাগরের জোয়ারের পানি ঢুকে কক্সবাজারের উখিয়ার ৩৫টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়েছে পড়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। বহু কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙ্গে,গ্রামীণ সড়ক লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।এছাড়া পানের বরজ নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ রিপোর্টে লেখাকালীন পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন  খোঁজ খবর নেওয়া হয়নি। পানিবন্দি মানুষদের খোঁজ খবর না নেওয়ার কারনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এখানকান সচেতন মহল।

জানা যায়, জালিয়া পালং ইউনিয়নের নম্বরী পাড়া, ঘাটঘর পাড়া পাইন্যাশিয়া, সোনাইছড়ি, সোনারপাড়া ডেইপাড়া মনখালি, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া, রুমখা পালং, বড়বিল, পাতাবাড়ি,নলবুনিয়া,খেওয়া ছড়ি, বৌ বাজার, কুলাল পাড়া, মনির মার্কেট, পাগলির বিল, রাজা পালং ইউনিয়নের কুতুপালং, মাছকারিয়া, লম্বাশিয়া তুতুরবিল, হিজলিয়া, পিনজির কুল, রত্না পালং ইউনিয়নের সাদৃ কাটা , পশ্চিম রত্না, বড়ুয়াপাড়া, খোন্দকার পাডা, গয়াল মারা ও পালংখালী ইউনিয়নে থাইংখালী, রহমতের বিল, বালুখালী তৈল খোলা, আঞ্জুমান পাড়া ফারিবিল সহ অন্তত ৩৫ টি গ্রামে পানি তলিয়ে গেছে। চারদিকে পানি আর পানি। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় অনেক গবাদি পশু মারা যাচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। জনগণের শরম দুর্ভোগ বেড়েছে।

জালিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম সৈয়দ আলম জানান, সমুদ্র উপকূলীয় ডেইল পাড়া,নম্বরি পাড়া ও ঘাটঘর পাড়ায় কয়েকশো পরিবার পানিতে আটকা পড়েছে।

এছাড়াও অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও পানের বরজ ভেঙ্গে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।

হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী জানান, রুমখা চৌধুরী পাড়া, বউ বাজার, পাগলির বিল, বড়বিল মনি মার্কেট সহ বিভিন্ন এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। সবজি ক্ষেত সহ আমন মৌসুমের বীজতলা পানিতে ভেসে গেছে। স্থানীয় মৎস্য চাষীরা জানান, মৎস্য ঘেরে ও পুকুরে পানি ডুকে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন বহু প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ভেরিফাই ফেইসবুকে এক জরুরি বার্তায , পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত জনগণকে নিরাপদ স্থানে কিংবা পার্শ্ববর্তী সাইক্লোসেন্টার আশ্রয় নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিজাম। উদ্দিন জানান প্রবল পানির স্রোতে অসংখ্য বীজ তলা ও পানের বরজ নষ্ট হয়েছে। গ্রামীন অভ্যন্তরীণ অন্তত ২০ টি কাঁচা রাস্তা ও কালভার্ট বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন ।

হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী তার ভেরিফাই ফেইসবুকে পানিবন্দী হওয়া পরিবারের ছবি পোষ্ট দিয়ে বলেছেন ২০ টি গ্রামের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নেমে এসেছে জনদুর্ভোগ। দুদিন ধরে অনাহারে রয়েছে বানভাসি মানুষ। তিনি উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

স্থানীয় নাগরিক সমাজের অভিযোগ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির প্রকল্প নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা সভা সেমিনারের নামে খরচ করলেও বন্যায় পানিবন্ধি মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। এটি খুব দুঃখজনক।

জালিয়া পালং ও পালং খালী ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজন জানান জন প্রতিনিধি কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা দেয়া হয়নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল মামুন বলেন সকল ইউনিয়নের জন প্রতিনিধিদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী মুঠোফোন রিসিভ না করার কারনে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

###

 

পাঠকের মতামত

চকরিয়ায় বজ্রপাতে কিশোরীর মৃত্যু

         মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া: কক্সবাজারের চকরিয়ায় বজ্রপাতে রোকসানা আক্তার (১৭) নামের এক কিশোরীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ...

গ্রীষ্মকালীন সাঁতার প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন মহেশখালীর বেলাল

           কক্সবাজার প্রতিনিধি : গ্রীষ্মকালীন উপ-আঞ্চলিক স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা সমিতি আয়োজিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় ...

মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে এলো ২০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ

           আব্দুস সালাম,টেকনাফ (কক্সবাজার) কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা হয়েছে আরও ২০০ মেট্রিক ...

ঘুমধুমে র‍্যাব-বিজিবির যৌথ অভিযান:১৬ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার:-সিএনজি জব্দ:গ্রেফতার-৩

           শহিদুল ইসলাম। বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু পশ্চিমকুল এলাকায় র‌্যাব- বিজিবি যৌথ ...