ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৪ ৫:৪৪ পিএম

 

জাহাঙ্গীর আলম।

মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাতের ৬ মাস পরে আবারও সপ্তাহ জুড়ে টেকনাফ সীমান্তে মর্টারশেল ও ভারী গুলি’র ফায়ারের শব্দ ভেসে আসলো।এ ঘটনায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) থেকে (৩১ জুলাই) বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত মিয়ানমারের রাখাইন থেকে থেমে থেমে ভেসে আসা বিস্ফোরণের বিকট শব্দে টেকনাফ সাবরাং -শাহপরীর দ্বীপ ও পৌরসভা এলাকা বিকট শব্দে কাপঁলো।বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম।

তিনি জানান,টেকনাফ সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ ও পৌরসভা এলাকায় নতুন করে সপ্তাহ জুড়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে থেমে থেমে মর্টারশেল ও ভারী গুলির বিকট ফায়ারের শব্দ ভেসে আসলো।মর্টারশেলের ফায়ার হলে এখানকার বাড়ি-ঘর কেঁপে উঠে।সর্বশেষ বুধবার ভোর রাত পর্যন্ত এ বিকট শব্দে কাঁপলো বাড়ি-ঘর।তিনি আরও জানান,এ ঘটনায় নাফনদী পেরিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা রয়েছে।তবে সীমান্তে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা সর্তক অবস্থানে রয়েছে।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান জানান,মিয়ানমার রাখাইনের চলমান যুদ্ধের কারনে টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যেই থেকে আতঙ্ক কাটছেনা। এর কারন হলো দিনের রাতে প্রায় সময় বিস্ফোরণের বিকট শব্দ এপারে ভেসে আসে। যখন বিস্ফোরণ হয় তখন এখানের বাড়ি-ঘর কেঁপে উঠে।মানুষ আতঙ্কে থাকেন।

টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দা রহিম উল্লাহ জানান, সীমান্তে খুব ভয় নিয়ে বসবাস করছি।মিয়ানমার থেকে নতুন করে মর্টারশেল ও গুলির ফায়ারের শব্দ ভেসে আসার কারনে।এবং মিয়ানমার সীমান্ত রোহিঙ্গারা অবস্থান করতেছে। তারা সুযোগ পেলে নাফনদী পেরিয়ে টেকনাফ সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছেন।এতে কিছু দালাল চক্র কাজ করছেন বলে তিনি জানায়।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান,মিয়ানমারের রাখাইনের চলমান সংঘর্ষে বিস্ফোরণ হলে এ শব্দ এপারের সীমান্তে শোনা যায়।তবে এমন ঘটনায় ভয় পাওয়ার কারন নেই।এটি দেশটির অভ্যন্তরের ঘটনা।তবে রাখাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় টেকনাফ সীমান্তের প্রতিটি গ্রামে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে বলে তিনি জানায়।

জানা গেছে ,চলতি বছরের শুরুতে আরাকান আর্মি ( এএ) রাখাইন রাজ্য দখল নিতে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।এ যুদ্ধে তারা ঘুমধুম- উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের ওপারের মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিপির চৌকি- সেনা ও পুলিশ ক্যাম্প সহ একাধিক গ্রাম ও শহর তারা দখল করে নেন।এখনো রাখাইনের মংডু শহর দখল নিতে তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

এর মধ্যেই মিয়ানমার সীমান্ত থেকে টেকনাফ নাফনদীতে বাংলাদেশি ট্রলার ও স্পিডবোটকে লক্ষ্য করে একাধিকবার গুলি বর্ষণের করা হয়েছিল,তবে কারা এ গুলি বর্ষণ করছে সেটি জানা যায়নি।ভয়ে বাংলাদেশি জেলেরা ঠিকমত মাছ ধরতে সাগরে ও নাফনদীতে যেতে পারেনা।এমন পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল টেকনাফ -সেন্টমার্টিন নৌপথ দিয়ে যাতায়াত।

পাঠকের মতামত

উখিয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১০ ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ!

          কক্সবাজারের উখিয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১০ ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ...

কক্সবাজারে ফুটবলের নতুন দিগন্ত ফিফার অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে  বাফুফে টেকনিক্যাল সেন্টার

          বিশ্ব ফুটবলের মানচিত্রে কক্সবাজারকে উজ্জ্বল করতে এগিয়ে আসছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ফিফার অর্থায়নে ...