জাহাঙ্গীর আলম,টেকনাফ( কক্সবাজার) সংবাদদাতা
কক্সবাজারের টেকনাফের সীমান্ত আবারও দুইদিন ধরে গুলির ফায়ার ও মর্টার শেলের বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কাপঁছে। সে সঙ্গে মিয়ানমার থেকে এসে পড়ছিল চারটি গুলি।এ ঘটনায় নতুন করে এপারের মানুষের মধ্যেই দেখা গেছে আতঙ্ক।
শনি ও রবিবার মিয়ানমারের রাখাইন থেকে টেকনাফ সদর ও সাবরাং ও শাহপরীর দ্বীপে থেমে থেমে ব্যাপক গুলি ও মর্টারশেলের বিস্ফোরণের বিকট শব্দে ভেসে আসতেছে।এবং গত ২১ জুলাই রাখাইন সীমান্ত থেকে এপারের সীমান্তের পাশের গ্রামে গুলি এসে পড়েছিল।বিষয়টি জানিয়েছেন সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন।
তিনি জানান,টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর গত দুইদিন শনি ও রবিবার দুপুর পর্যন্ত মিয়ানমারে থেকে থেমে থেমে ব্যাপক হারে গুলি ফায়ার ও মর্টারশেলে বিকট শব্দে এপারে সীমান্ত কেঁপে উঠেছে। এবং মাঝেমধ্যে ওপার থেকে ছোড়া রাইফেলের গুলি এপারে এসে পড়ছে। গত ২১ জুলাই সকাল ও বিকেলে ওপারের চারটি গুলি এসে পড়ে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপে। দুটি গুলি পড়েছে শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট এলাকার হোছন আলীর দোকানের সামনে। একটি পড়েছে শাহপরীর দ্বীপ বাজারপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইদ্রিসের বাড়ির আঙিনায় এবং আরেকটি পড়েছে একই পাড়ার মোহাম্মদ আয়াসের বসতবাড়ির সামনের পিলারে। তাতে পিলারটি ক্ষতিগ্রস্তও হয়।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম জানান,সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় বসবাসকারি লোকজন সব সময় ভয়ের মধ্যেই থাকেন।এত দিন মিয়ানমারের চলামান সংঘাতে বিস্ফোরণের বোমার শব্দে এপারের এলাকার মানুষ আতঙ্কে ছিলেন, এখন নতুন আতঙ্ক হিসেবে যুক্ত হয়েছে মিয়ানমারের ওপারের গুলি এপারে এসে পড়ার কারনে।
এ বিষয়ে সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি’র) অধিনায়ক ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডারের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান,শাহপরীর দ্বীপের কয়েকটি স্থানে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি এসে পড়েছে বলে তিনি জানতে পারেন। রাখাইন রাজ্যে বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটছে।এ ব্যাপারে টেকনাফ সীমান্তের প্রতিটি গ্রামে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা নিয়ে লোকজনকেও সতর্ক করা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত