আব্দুস সালাম,টেকনাফ (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮০হাজার পিস ইয়াবাসহ দুইজন মাদক কারবারীকে আটক করেছে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা।
আটককৃতরা হলেন,টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মৌলভীবাজার (মুসলিমপাড়া) এলাকার হাজী জানে আলমের ছেলে রবি আলম (২৭) ও একই এলাকার নাজির হোসেনের ছেলে বশির আহম্মদ (৩৫)।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও
সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’এন্ড মিডিয়া) মোঃ আবুল কালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, র্যাব-১৫, আভিযানিক দলের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারীর প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউনিয়নস্থ ২নং ওয়ার্ডের মৌলভীবাজার (মুসলিমপাড়া) এলাকার জনৈক জানে আলম এর বসত ঘরের ভিতর কতিপয় মাদক কারবারী মাদকদ্রব্যসহ ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানিক দল উক্ত স্থানে পৌঁছালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কতিপয় ব্যক্তি ঘর থেকে বের হয়ে পালানোর চেষ্টাকালে দুইজন মাদক কারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয় এবং তাদের অপর এক সহযোগী কৌশলে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আসামীদ্বয়ের নিজ হাতে বের করে দেওয়া মতে একটি চটের বস্তার ভিতরে রক্ষিত অবস্থায় সর্বমোট ৮০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, আটককৃত এবং পলাতক মাদক কারবারীরা দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা এবং পাঁচারের সাথে জড়িত। তারা বিভিন্ন কৌশলে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট অবৈধ পথে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে থাকে। তৎপরবর্তীতে বিভিন্ন জায়গায় মজুদ করে খুবই চতুরতার সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কক্সবাজার জেলার স্থানীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদকদ্রব্য (ইয়াবা ট্যাবলেট) সরবরাহ করে আসছিল বলে জানায়।
তিনি আরো জানান,উদ্ধারকৃত আলামত ইয়াবাসহ আটককৃত এবং পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত