সোয়েব সাঈদ, রামু::
কক্সবাজারের রামুতে হাত পা বাঁধা অবস্থায় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত যুবক মামুন (৩০) কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের খরুলিয়া ঘাটপাড়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ নবীর বড় ছেলে।
রবিবার (৭ জুলাই) সকালে রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের কাদেমর পাড়া নামক এলাকা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
রশিদনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম জানিয়েছেন, সকালে হাত পা বাঁধা মৃতদেহটি স্থানীয় লোকজন দেখতে পায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়। দুপুরে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তিনি আরও জানান- অন্য কোথাও হয়তো এ যুবককে হত্যার পর ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার উদ্দেশ্যে হত্যাকারিরা মৃতদেহটি এখানে রেখে গেছে।
ঝিংলজা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের সদস্য আবদুর রশিদ জানিয়েছেন, নিহত মামুন একটি ইলেকট্রিক পন্য বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতো। পাশাপাশি ছোটখাটো ব্যবসাও করতো। মামুনের সাথে স্থানীয় কারও বিরোধ ছিলো না। ২ বছর পূর্বে তার বাবা মারা যান। তিনি আরও জানান, কয়েকমাস পূর্বে রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি এলাকার একটি মেয়ের সাথে মামুনের বিয়ের কাবিননামা সম্পন্ন হয়েছিলো। সম্প্রতি দ্বন্ধের কারণে সেটি ভেঙ্গে যায়। তবে কেন তাকে হত্যা করা হলো এ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা এখনো নিশ্চিত হতে পারছেন না বলে জানান তিনি।
রামু থানার ওসি (তদন্ত) ইমন কান্তি চৌধুরী মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, উদ্ধারের পর মৃতদেহের পরিচয় মিলেছে। নিহত যুবক মামুনের হাত পা বাধাঁ ছিলো। নাক ও দুই কান রক্তাক্ত ছিলো। ধারনা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে। হত্যার সঠিক কারণ উদঘাটন ও জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পাঠকের মতামত