মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া…
কক্সবাজারের চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় ভিত্তিক কর্মরত ১০ জন দলিল লিখকের সনদ বাতিল করা হয়েছে। দলিল লিখক বিধিমালা মতে, আইনসংগত আদেশ অমান্য করে গুরুতর পেশাগত অসদাচরণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের সনদ বাতিল করা হয়। এছাড়াও সনদ বাতিল করা দলিল লিখকদের অফিস আঙ্গিনায় প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত আদেশটি বুধবার (৩ জুলাই) চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে টাঙানো হয়েছে এবং জেলা সাব-রেজিস্টার কার্যালয়ে অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। বুধবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যায় অফিস আদেশ টাঙানোর পর এ ঘটনা জানাজানি হয়।
চকরিয়া সাবরেজিস্ট্রার (অ.দা) আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাক্ষরিত এই লিখিত আদেশে উল্লেখ করেছেন, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়ে দলিল লিখকের সনদ পাওয়া ১০ জনের মধ্যে ৯ জনকে গত ২৬ জুন এবং ১ জনের সনদ বাতিল করা হয়েছে ৩ জুলাই। সনদ বাতিল করা দলিল লিখকরা হলেন- শওকত ওসমান, এম জসিম উদ্দিন, মৌঃ জাকের উল্লাহ, মামুনুর রশিদ, আব্দুল হামিদ, ফজলেহ উদ্দিন, বোরহান উদ্দিন, মোঃ আমিনুর রহমান ও আহমেদ আলী।এদিকে একই অভিযোগে পেকুয়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিস কেন্দ্রিক দায়িত্বরত রফিক আহমেদ নামের এক দলিল লিখকের সনদও বাতিল করা হয়েছে।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, জেলার সব সাব-রেজিস্ট্রার অফিস কেন্দ্রিক দায়িত্বরত সনদপ্রাপ্ত দলিল লিখকদের সম্প্রতি এসএসসির সনদ চেয়ে আদেশ দেয়া হয়। কিন্তু সেই আদেশ মতে, অনেকে কোন জবাব দেননি। আবার কেউ কেউ এসএসসির সার্টিফিকেট দিলেও তা তদন্তে নকল প্রমাণিত হয়। তাই জবাব না দেয়া ও নকল সার্টিফিকেট দেয়া দলিল লিখকদের সনদ বাতিল করা হয়েছে।অফিস আদেশে উল্লেখ করা তথ্য ছাড়াও বিস্তারিত জানতে চকরিয়ার সাব-রেজিস্ট্রার আব্দুল্লাহ আল মামুনের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।পরে কক্সবাজার জেলা রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের কাছে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অফিসিয়াল কোন নেপথ্য তথ্য মিডিয়াকে দেওয়ার নিয়ম নেই। তাই অফিস আদেশের বাইরে আমার কোন বক্তব্যও নেই।’###
পাঠকের মতামত