মাহমুদুল হাসান::
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দূর্ভোগে পড়েছে শতাধিক পরিবার।
মঙ্গলবার ২রা জুলাই ভোর রাত থেকে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ইউপির ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিমকূল, বাজার পাড়া ও ২নং ওয়ার্ডের কোনার পাড়া, মধ্যমপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবারের মানুষ পানি বন্ধি হয়ে আছে।যার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জন-জীবন।
প্রতি বছর বর্ষার মৌসুমে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢল এসে কোনাপাড়া বাজার পাড়া মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়ে। যার কারনে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা হয়ে পড়ে দুর্বিষহ। পানিবন্ধী আব্দুল মুনাফের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পানি উঠার আশঙ্কা দেখে অনেকে ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ও গবাদিপশু নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে।
এদিকে ভারী বৃষ্টি হলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ও পাহাড় ধস হওয়ার সম্ভাবনা আছে মর্মে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের কাছে খবর পৌছানো হয়েছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নে সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, টানা তিন দিনের বর্ষনে, ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের বাউন্ডারির একাংশ ভেঙে গেছে এবং প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়াতে অনেকের সৃজিত ক্ষেত খামারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে। তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উঠান ও ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের পথে পানি ওঠেছে।মাধ্যমিক স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। অন্যদিকে ইউনিয়নের দুই একটি জায়গাতে পাহাড়ি সড়কে ধস হয়ে রাস্তার পাশে এসে পড়েছে। এতে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
ভারী বৃষ্টিতে চারণভূমি পানির নিচে নিমজ্জিত হওয়ায় খাদ্য সংকটে পড়েছে গবাদি পশু-পাখি। টানা বৃষ্টিপাত হতে থাকলে গবাদি পশু-পাখি বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকাল থেকে এখন পর্যন্ত প্লাবিত হয়েছে এমন পরিবারের খোঁজ খবর নিচ্ছি। এবং কারো কিছু প্রয়োজন হলে সাধ্যমত পৌছানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ মুঠোফোনে জানায়, সর্বসাধারণকে টানা বৃষ্টির কারনে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে যারা পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করে তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পাঠকের মতামত