জাহাঙ্গীর আলম,টেকনাফ( কক্সবাজার)সংবাদদাতা
ওপারের মিয়ানমার রাখাইন সীমান্তে একের-পর এক থেমে থেমে মর্টারশেলের ফায়ার ও হেলিকপ্টার থেকে ছুঁড়া হচ্ছে গোলা। এ ফায়ারের বিকট শব্দে এপারের টেকনাফ সীমান্ত কাঁপছে।
মঙ্গলবার ( ২৫ জুন) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টেকনাফ সীমান্ত জেটিঘাটের ওপার থেকে ব্যাপক আকারে এ বিকট শব্দ ভেসে আসতেছে। বিষয়টি জানিয়েছেন জেটিঘাটের বাসিন্দা মো. কাদের।
তিনি জানান,গত কয়েকমাস ধরে মর্টারশেল ও গুলি’র শব্দে টেকনাফ জেটিঘাট এলাকায় বসে থাকা যায়না,তবুও কাজের প্রয়োজনে অবস্থান করছি।তবে মাঝখানে কিছুদিন ফায়ার বন্ধ ছিল।আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে মিয়ানমার রাখাইনের মংডু টাউনশিপের কাদিরবিল, মংনিপাড়া ও সুদাপাড়া,কাউয়ার বিল, প্যারানপুর গ্রাম থেকে এ ফায়ারের শব্দ টা বেশি আসতেছে।সন্ধ্যা পযর্ন্ত এ শব্দ শোনা যাচ্ছে। মাঝে মধ্যেই দেখা যাচ্ছে হেলিকপ্টার থেকে ছুঁড়া হচ্ছে গোলা।
টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান জানান,মিয়ানমার রাখাইনের ঘটনায় এপারের কৃষক,শ্রমিক ও জেলে সহ নাফনদী ও সাগর নির্ভরশীল মানুষ কস্টে জীবন-যাপন করছেন। দিনের -পর দিন ওপারের গোলাগুলির ঘটনায় তারা ঠিকমত কাজে যেতে পারে না।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান,স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি সকালে আবারও থেমে থেমে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দ এপারে শোনা যাচ্ছে। সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার পাশাপাশি বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার রয়েছে।
সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, টানা সাড়ে তিন মাস ধরে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির লড়াই চলছে। সম্প্রতি মংডু টাউনশিপের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে দুটি শহরসহ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৪টি সীমান্তচৌকি, রাচিডং-বুচিডং টাউনশিপের বেশ কয়েকটি থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। এখন মংডু শহর দখলের জন্য লড়ছে তারা।
পাঠকের মতামত