নিজস্ব ভোট ব্যাংককে পুঁজি করে আবারো চমক চাই জাহাঙ্গীর আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক::

আর একদিন পরেই বুধবার (২৯ মে) উখিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম টিউবওয়েল মার্কা নিয়ে পুনরায় নির্বাচিত হতে প্রচার-প্রচারণা গণসংযোগ এবং পথসভায় জনতার কাতারে বিগত পাঁচ বছরের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে শেষ মুহূর্তে এসে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন বলে তিনি দাবি করছেন।

সরেজমিন দেখা যায় , উখিয়াবাসীর বহুলপ্রতীকৃত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ইউনিয়নের অলিগলি, রাস্তাঘাট ও দোকানপাটে এখন শুধু উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় সরগরম ভোটাররা । নির্বাচনী হাওয়ায় টিউওয়েল মার্কায় পাল তুলতে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম দলীর নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মহিলা সমাবেশে গন সংযোগে আঞ্চলিকতার টানতুলে ভোটারদের আবেগের ও আন্তরিকতার জালে বন্দি করে আবারো চমক দেখাতে যাচ্ছেন।

জানা গেছে, উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের কৃতিসন্তান জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে নির্বাচনী মাঠ গোচানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি ইতোমধ্যে গণমানুষের নেতা হিসেবে মানুষের কল্যাণে একজন সদা নিবেদিত প্রাণ হিসেবে- জনপ্রিয়তার স্থান দখল করে নিয়েছেন। তিনি ভাইস চেয়ারম্যান হয়ে জনকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত থেকে, দীর্ঘদিন যাবৎ মানুষের সেবায় কাজ করে আসছেন।

হলদিয়াপালংয়ের সামাজিক ব্যক্তিত্ব জসিম আহমদ জানান জাহাঙ্গীর আলম গেল ৫ বছর সর্বদলীয় মানুষের সুখে-দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে গ্রহণ করেছেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। ধর্ম-বর্ণের বৃত্তের বাইরে গিয়ে, নানা জনহিতকর কাজ করার মহান শিক্ষা অর্জনের মধ্যদিয়ে- নিজেকে একজন অপ্রতিদ্বন্ধী ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলেছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম তার ক্ষমতাকালীন সময়ে উখিয়ায় আর্তমানবতার সেবায় গৃহীত পদক্ষেপগুলো অতি ব্যাপক ও বিস্মৃত। অসংখ্য অভাবীদের অন্ন- বস্ত্র- বাসস্থানের ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি, বেকারদের কর্মসংস্থানে নিয়েছেন কার্যকর পদক্ষেপ। এ সকল কর্মকান্ডের ফলে বিশাল ভোটব্যাংক তার এগিয়ে যাওয়ার পথ কে সুগম করছে

এদিকে, ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে মাঠ দাঁপিয়ে বেড়ানো, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম এ সময়ের সাহসী একজন নেতা হিসেবে নির্বাচনে তার বিজয় শতভাগ নিশ্চিত হবে বলে প্রবীণ রাজনীতিবীদ ও এলাকার সচেতন মহল মনে করছেন। কেননা তিনি বিগত ৫ বছর এ পদে দায়িত্বে থেকে সততা ও নিষ্টার সাথে কাজ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।

অন্যদিকে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় জনপ্রিয়তার দিক থেকে শক্তিশালী এই প্রার্থীকে দলীয় সমর্থন দেয়ার বিকল্প নেই বলে ধারনা করেছেন নেতা কর্মী ও সমর্থকরা।

ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, জনগণের ভালবাসাকে পূঁজি করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে পূণরায় নির্বাচিত হলে উখিয়ায় আরও বেশী উন্নয়নমূলক কাজ করে দলকে আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

তিনি আরো বলেন, উখিয়াকে উন্নয়নের জোয়ারে পরিণত করতে চাই। আমি পূণরায় নির্বাচিত হলে প্রতিটি মহল্লায় সেবাকেন্দ্র চালু করে মানুষের দোঁড়গোড়ায় সরকারের বিদ্যমান সেবা পৌঁছে দেব এবং উখিয়াকে একটি মাদকমুক্ত, পরিচ্ছন্ন, আধুনিক ও স্মার্ট উপজেলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে- তিনি বলেন, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি আদর্শ উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলব।

সাধারণ মানুষের দাবি, তিনি একজন ক্লিন ইমেজের প্রার্থী। উখিয়াবাসী এবারও তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন। একটি নতুন চেতনায় আবারো স্বপ্ন দেখছেন। যেখানে থাকবে না দুর্ভোগ। থাকবে এলাকার উন্নয়ন ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন।

বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি বিগত দিনে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে থেকে উপজেলাবাসীর নানামুখী সমাজ সেবায় কাজ করেছেন এবং বর্তমানেও কাজ করে যাচ্ছেন। বিপদ আপদে মানুষ তাকে পাশে পায়। তাই পূণরায় তাকেই ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে চান তারা।

সরেজমিনে গিয়ে ভোটারদের সাথে আলাপ করলে অধিকাংশ ভোটার বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম একজন ভালো ব্যক্তি, তিনি অতীতেও মানুষের পাশে ছিলেন। মানবিক কাজে তাকে সবসময় পাওয়া যায়।বিগতদিনে দুঃস্হ অসহায় কৃষকদের নিজে পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দেন। এতিমদের সব সময় সহায়তা করেছেন। মানুষের উপকার করেছেন বলে আজ তার ডাকে সাড়া দিচ্ছে।

জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, একটি সমাজে ধনী–গরীব নির্বিশেষে সব রকম মানুষের বাস। একটি কথা মনে রাখা ভালো, সমাজ নিয়ে ভাবনার বয়স লাগে না, প্রয়োজন চিন্তা ও মানসিকতা। শুধু নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকলে হবেনা। সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে পারাটাই হলো আমার ব্রত।

উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীর আলম বাংলার কৃতিসন্তান বীর পুরুষ শহীদ এটিএম জাফর আলম (সিএসপি), সাবেক বাংলাদেশ মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এবং সাবেক হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. শাহ আলমের ভাতিজা ও জালিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরীর মেয়ের জামাই। তিনি রুমখাঁ মাতবর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

গণসংযোগে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ, আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন এবং অন্যান্য দলের নেতা কর্মীগণ সর্বক্ষণিক তার জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করছেন।

তার চাচা সাবেক হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহা আলম এবং জালিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা নুরুল আমিন চৌধুরীর দুই ইউনিয়নে বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে সেটাকেই পুঁজি করে আবারো বিপুল ভোটে জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন বলে সচেতন মহল মনে করছেন।