নিজস্ব প্রতিবেদক
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো। সন্ত্রাসী কার্যক্রম বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ কারণে শুধু বাংলাদেশ নয় আশপাশের দেশগুলোতেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। কারণ সন্ত্রাসীদের নিজস্ব একটি পরিকল্পনা এবং চেইন থাকে।
মন্ত্রী আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে পরিবেশগত সমস্যা, আইনশৃঙ্খলা সমস্যা, ইয়াবা ও মাদক পাচারের মতো সমস্যা তৈরি হয়েছে। এছাড়াও রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী দলে ভিড়ানো হচ্ছে। এসব কারণে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রসহ সকলেই সমস্যায় আছে।
রোববার (১২ মে) কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকের আগে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে মোকাবিলা করতে না পেরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রথম দফায় পালিয়ে আসা ৩৩০ জনকে ফেরত পাঠানোর পর আবারও কিছুদিন আগে ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর গত কয়েকদিনে আবারও ১৩৮ জন বিজিপি ও সেনাবাহিনীর সদস্য নতুন করে নাফনদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। নতুন করে অনুপ্রবেশ করা ১৩৮ জনের মধ্যে একজন কর্ণেল এবং দুইজন মেজরও রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মায়ানমার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে এছাড়াও অন্যান্য দেশের সাথে আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনা চলছে যেন মায়ানমারকে চাপ সৃষ্টি করে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিয়ে দ্রুত ফেরত নেওয়া হয়। এছাড়াও নতুন নতুন করে পালিয়ে আসা বিহিপি সদস্যদের ফেরত নিতেও আলোচনা চলছে।
পাঠকের মতামত