জাহাঙ্গীর আলম,টেকনাফ ( কক্সবাজার) সংবাদদাতা
কক্সবাজারের টেকনাফের ছাত্রলীগ নেতা শাহ রিয়ার মুরাদের হত্যাকারীদের আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন শামলাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার(৯ মে) সকাল ১০ টার দিকে টেকনাফ উপজেলার শামলাপুর বাজারের সড়কের দু’পাশ জুড়ে এ মানববন্ধন করা হয়।এতে স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।এ সময় দেখা যায় শত শত শিক্ষার্থীরা ব্যানার ও প্লে-কার্ড হাতে মুরাদ হত্যার বিচারের দাবিতে সড়কে অবস্থান গ্রহন করেন।
শামলাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাস্টার এম এ মনুজর বলেন,নিহত শাহ রিয়ার মুরাদ অত্যন্ত নম্র ও ভদ্র একজন ছাত্র ছিল।তাকে এভাবে হত্যা করে আমাদের বুক খালি করবে, আমরা জীবনেও কল্পনা করতে পারি নাই।যারা মুরাদকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থার দাবি জানান।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন,শামলাপুরের
ভরা বাজারে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে সবার আদরের ও স্নেহের শাহ রিয়ার মুরাদকে
এভাবে হত্যা করা হয়েছে সেটি কখনো মেনে নেওয়া যায়না।শাহ রিয়ার মুরাদের জানাযার নামাজে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে বুঝা যায় সে কত ভদ্র ছেলে ছিল।
তার হত্যায় জড়িত খুনিদের আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রতি অনুরোধ জানান।
তার সহপাঠী ইমরুল হাসান বলেন,বন্ধু মুরাদ আমাদের মাঝে চিরকাল বেঁচে থাকবে,তার সঙ্গে চলাফেরা-খেলাধুলা সহ এক সঙ্গে কত সময়
কাটিয়েছি,সে স্মৃতি কোনদিন আমরা ভুলতে পারবোনা।যে খুনিরা বন্ধু মুরাদকে হত্যা করেছে তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য গত,সোমবার ( ৬ মে)বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর বাজারে হাজি নুর আহমদ মার্কেটের ভেতর উখিয়ার জালিয়া পালং ৯ নম্বর ওয়ার্ড মনখালির বাসিন্দা রফিক উল্লাহ ও মো. আদিলের নেতৃত্বে আরও কয়েকজন জড়ো হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে শাহ রিয়ার মুরাদ ও মো. মামুনের ওপর হামলা চালিয়ে ছিল।এতে মুরাদ তাদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে। তার বড় ভাই এনজিও কর্মী মো. মামুন আহত হয়েছিল।নিহত শাহ রিয়ার মুরাদ টেকনাফের শামলাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি।এবং বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামের ছেলে।
পাঠকের মতামত