এইচ.কে রফিক উদ্দিন:-
ঢাকা আহছানীয়া মিশনের বাস্তবায়নে ও জিওসি’র অর্থায়নে ওয়াশ প্রকল্পের আওতায় স্হাপন করা কমিউনিটি বেজ টিউবওয়েল থেকে সুপেয় পানি পাচ্ছেন উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের হাতিমুরা, দর্গাহবিল, খালকাঁচাপাড়া, লম্বাঘোনাসহ আরও কয়েকটি গ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রায় তিন শতাধিক পরিবার।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের খালকাঁচা পাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কমিউনিটি বেজ টিউবওয়েল থেকে গোসল ও কলসে করে পানি নিচ্ছেন অনেকেই।
ঢাকা আহছানীয়া মিশনের এই মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সুপেয় পানির সংকট নিরসনে আরও বেশি করে নলকূপ স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এই গ্রামগুলোতে সুপেয় পানির সংকট নিরসন ও স্বাস্থ্য সম্মত নিরাপদ টয়লেট স্হাপনে তাদের উন্নত পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন, ঢাকা আহছানীয়া মিশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
গ্রামবাসীর সমাস্যার প্রতিকারে ০৯টি গভির নলকূপ স্হাপন ও ১০ টি নলকূপ মেরামতের কাজ এবং একই সাথে ৫০ টি স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট নির্মাণ ও ৬২টি পুরাতন টয়লেট মেরামত করার কাজ আগামী আগস্ট ২০২৪ খ্রীস্টাব্দের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
নলকূপ থেকে পানি নেওয়া ১০ বছর বয়সী কিশোরী শাহিনা আক্তার বলেন, আমরা প্রতিদিন এখান থেকে পানি নেই। পানিও অনেক ভালো, এই পানিতেই আমাদের রান্না ও খাওয়া হয়।
আনোয়ারা নামক উপকারভোগী বৃদ্ধ মহিলা বলেন, মিষ্টি ও সুপেয় পানির খুবই অভাব ছিল আমাদের। বৃষ্টির মৌসুম ছাড়া সারা বছরই পানির কষ্ট পাই। তবে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের দেওয়া নলকূপের কারণে আমাদের পানির কষ্ট কমেছে।
স্হানীয় মুদি দোকানি গফুর সওদাগর বলেন, দারিদ্রতার কারণে এখনো অনেকেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই নিম্নমানের টয়লেট নির্মাণ করে জীবনযাপন করছে, তাদের চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেটের আওতায় আনতে সেবা সংস্থার কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
হাতিমুরা জামে মসজিদের ইমাম মৌলানা আলি আহমেদ বলেন, ঢাকা আহছানীয়া মিশনের উদ্যোগে নলকূপ স্হাপন হওয়ায় এলাকার অনেকের পানির চাহিদা মিটছে। কিন্তু এটা খুবই সীমিত। এই অঞ্চলের মানুষের পানির চাহিদা মেটাতে আরও বেশি নলকূপ বসানো দরকার।
রাজাপালং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ইকবাল মেম্বার বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্য সম্মত লেট্রিনের অভাবে আমাদের এলাকার নিম্ন আয়ের সাধারন গরীব মানুষ নিরুপায় হয়ে খালবিল ও পুকুরের পানি পান করে, বাধ্য হয়ে অনেকেই চটের বস্তা দিয়ে টয়লেট বানিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তাদের টয়লেটের কাজ সারছেন। যার কারণে এলাকার লোকজনের নানা ধরনের রোগ লেগেই থাকে। স্থানীয়দের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে বিশুদ্ধ পানির অভাব দূরীকরণ ও স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট প্রদান করায় অত্র এলাকাবাসীর পক্ষে ঢাকা আহছানীয়া মিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন।
পাঠকের মতামত