প্রতিনিধি।
এবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে মৃত ভেসে এলো সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী পরপইস বা শুশুক। এছাড়া ১ টি অলিভ রিডলি মা কাছিম মৃত অবস্থায় ভেসে আসে। পরপইসটি ৪ ফিট ৯ ইঞ্চি লম্বা এবং প্রায় ৪৫ কেজি ওজনের ইন্দোপ্যাসিফিক ফিনলেস প্রজাতির।
রোববার (০৩ মার্চ) রাতে টেকনাফ সমুদ্র সৈকতের শামলাপুর চৌকিদারপাড়ায় মৃত সামুদ্রিক প্রাণীগুলো ভেসে আসে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, টেকনাফের শামলাপুর এলাকায় একটি ৪ ফিট ৯ ইঞ্চি লম্বা এবং প্রায় ৪৫ কেজি ওজনের ইন্দোপ্যাসিফিক ফিনলেস পরপইস এবং ১ টি অলিভ রিডলি মা কাছিম মৃত অবস্থায় ভেসে এসেছে। সংবাদ পেয়ে বোরির একটি উদ্ধারকারী টিম পরপইস ও কাছিমটি উদ্ধার করে বোরি ক্যাম্পাসে নিয়ে আসার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারী হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসে একটি মৃত ইরাবতী ডলফিন। ১৬ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজার শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে সোনারপাড়া সৈকতে ও ২৬ কিমি দক্ষিণে পাটুয়ারটেক সৈকতে মৃত দুটো ডলফিন ভেসে আসে। এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজার শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে হিমছড়ি সৈকতে একটি ডলফিন ও তার আগেরদিন শহরের সুগন্ধা পয়েন্ট সৈকতে একটি পরপইস এর মৃতদেহ ভেসে এসেছিল।
২০১২ সালের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে স্তন্যপায়ী ডলফিন, পরপইস ও সামুদ্রিক কচ্ছপ সংরক্ষিত প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত। এগুলো শিকার করা, খাওয়া, অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ পরিবহন ও ক্রয়–বিক্রয় করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
কী কারণে হঠাৎ করে কক্সবাজার বঙ্গোপসাগরে ডলফিন, পরপরইসসহ এত সংরক্ষিত প্রাণী মারা যাচ্ছে তা বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও পরিষ্কার নয়। তবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রাণীগুলোর আবাসস্থলে কোনো বড় ধরনের সমস্যা হয়েছে কি না, তাও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত