ডেস্ক রিপোর্ট
বেইলি রোড ট্র্যাজেডিতে মারা যাওয়া কাস্টমস কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী-সন্তানের মরদেহ কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শনিবার (২ মার্চ) রাত সাড়ে আটটার দিকে শাহ জালালের স্ত্রী মেহেরুন নেছা হেলালি মিনার রামুর গ্রামের বাড়ি ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নে পৌঁছায় মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স।
মরদেহ পৌঁছানোর পর এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেখানে রাতেই তাদের জানাজা হবে।
জানাযা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে শাহ জালালের গ্রামের বাড়ি কক্সবাজরের হলদিয়াপালং গ্রামে। সেখানে সকাল ১১টার দিকে নিহত ৩ জনের আরও একটি জানাযা সম্পন্ন হবে। জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন তারা।
এদিকে, ছেলে শাহ জালালসহ আদরের নাতনি ও পূত্রবধুকে হারিয়ে বাবা আবুল কাশেম এখন অনেকটাই বাকরুদ্ধ। যুদ্ধে হানাদার বাহিনীর অত্যাচার সহ্য করা এই বীর মুক্তিযোদ্ধা এখন ছেলের শোকে কাতর। বাড়ির আঙিনাজুড়ে চলছে দাফনের প্রস্তুতি। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পারিবারিক কবরস্থানেই দাফন করা হবে কাস্টমস কর্মকর্তা শাহ জালাল উদ্দিন, তার স্ত্রী মেহেরুন নেছা হেলালি মিনা ও তিন বছরের একমাত্র কন্যা ফাহিরুজ কাশেম জামিরাকে।
পাঁচ ভাই এক বোনের মধ্যে মেঝো ছিলেন নিহত শাহ জালাল। ভাই হারানোর বেদনায় কাতর তার সহোদরেরাও। বার বার স্মৃতিচারণ করে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তারাউল্লেখ্য, নিহত শাহজালাল নারায়ণগঞ্জ কাস্টমস অফিসে রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বেইলি রোড ট্র্যাজেডিতে শাহ জালালের সাথে পাওয়া যায় তার স্ত্রী মেহেরুন নেছা মিনা ও তার তিন বছরের কন্যা সন্তান ফাহিরুজ কাশেম জামিরার অগ্নিদগ্ধ মরদেহ।
পাঠকের মতামত