ডেস্ক রিপোর্ট
রাজধানীর বেইলি রোড ট্রাজেডিতে মারা গেছেন ৪৬ জন। শনাক্তের পর শনিবার (২ মার্চ) সকালে স্ত্রী-সন্তানসহ নিহত কাস্টমস কর্মকর্তার মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ফলে, এ নিয়ে হস্তান্তর সম্পন্ন হলো ৪৪টি মরদেহ।
হস্তান্তরের অপেক্ষায় রয়েছে আরও দুইটি মরদেহ। এদিকে, এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এছাড়া, তিনজনকে গ্রেফতারও করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ভবনটির নিচতলার চা-কফির দোকান ‘চুমুক’ এর দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন এবং তৃতীয় তলার ‘কাচ্চি ভাই’র ব্যবস্থাপক জয়নুদ্দিন জিসান।
এদিকে, ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের পর শুনশান নীরবতা বেইলি রোড এলাকায়। পুড়ে যাওয়া ক্ষত নিয়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে রয়েছে ভবনটি। যাত্রাপথে কৌতুহলবশত অনেকেই এক নজর দেখে যাচ্ছেন। বহুতল ওই ভবন নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছে পুলিশ।
আলো ঝলমলে বেইলি রোডের এ এক অচেনা রূপ। বৃহস্পতিবার রাতের অগ্নিকাণ্ডের পর কেমন নিকষ কালো অন্ধকারে ঢেকে গেছে আশপাশ। বহুতল এই ভবনে এখন শ্মশানের মতো নীরবতা।
আগের রাতে ভয়াবহ স্মৃতি মনে করে এখনও চমকে উঠছেন অনেকে। চোখমুখ জুড়ে আতংক-এখনও পীড়া দিচ্ছে অনেককে! প্রাণ হারানো মানুষদের জন্য শোক তাদের কণ্ঠে।
পাঠকের মতামত