কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের উখিয়ায় আলোচিত সৈয়দ করিম হত্যাকন্ডে জড়িত ঘাতক চাচাতো ভাই সালামত উল্লাহ’কে হত্যাকান্ডের ১০ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজারের রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেঁচারদ্বীপের পাহাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তাক্ত ছুরি ও নিহতের পরিহিত জামা উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে র্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
মেজর সাইফুল ইসলাম জানান, গতকাল মঙ্গল (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের উত্তর নিদানিয়া তেতুলতলা গ্রামে সৈয়দ করিম (৪৫) নামের এক সুপারী ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে আপন চাচাত ভাই ছালামত উল্লাহ। স্ত্রীর পরকীয়া সন্দেহে ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে উভয়ের মধ্যে বিরোধ চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। ঘটনার দিন সকালে উখিয়ার উত্তর নিদানিয়া গ্রামে স্টেশন থেকে সৈয়দ করিম বাড়ি ফেরার পথে বাড়ির নিকটে সুপারী বাগানে পৌঁছলে হত্যার অভিযুক্ত ছালামত উল্লাহ পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার উপর আকস্মিক হামলা করে। একপর্যায়ে ঘাতক ছালামত উল্লাহ সৈয়দ করিমের বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সৈয়দ করিম। পওে স্থানীয়রা ও আত্মীয় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সৈয়দ করিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
এঘটনায় ঘাতক ছালামত উল্লাহকে ধরতে র্যাব অভিযান শুরু করেন। একইদিন রাত পৌনে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেঁচারদ্বীপ এলাকায় চেকপোষ্ট বসায় র্যাব। এসময় তল্লাশী করার এক পর্যায়ে কক্সবাজারগামী একটি সিএনজি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় পাশ্ববর্তী পাহাড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা করা হয়। গ্রেপ্তার ছালামত উল্লাহ (৩৮) উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের উত্তর নিদানিয়া তেতুলতলা গ্রামের সৈয়দ কাশেমের ছেলে।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ছালামত উল্লাহ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করে ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন। নিহত সৈয়দ করিমের সাথে তার স্ত্রীর দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্ক সন্দেহ এবং পারিবারিকভাবে পূর্ব শক্রতা চলে আসছিল। এরই জেরে ঘাতক দীর্ঘদিন যাবত সুযোগের অপেক্ষায় ছিল এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি সংগ্রহে রেখেছিল। হত্যাকান্ডের পর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে রাতের আঁধারে কক্সবাজার হয়ে অন্যত্রে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
##
পাঠকের মতামত