পলাশ বড়ুয়া::
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাত গত দু’দিন ধরে গোলাগুলি ও মর্টারশেলের শব্দ শোনা না গেলেও আতংক কাটেনি সীমান্তবাসীদের। এদিকে নতুন করে সীমান্তের নাফ নদীর শাখা-প্রশাখা দিয়ে ভেসে আসছে ক্ষত-বিক্ষত মানুষের লাশ। এ রিপোর্ট লেখাকালীন পর্যন্ত গত দুই দিনে তিনটি অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করেছে উখিয়া থানা পুলিশ।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উখিয়ার পৃথক স্থান থেকে দুটি বিকৃত লাশ উদ্ধার করা হয়। তৎমধ্যে একটি বালুখালী কাস্টমস ঘাট এলাকায় খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অপরটি উখিয়ার ইনানীর সী-বীচ থেকে উদ্ধার করা হয়।
একটি অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, লাশ গুলো বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্টির সদস্য। তারা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতে নিহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
বালুখালী কাস্টমস ঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া লাশটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংঘঠনের নেতা আবুল কালামের বলে দেখতে আসা রোহিঙ্গারা মন্তব্য করতে শোনা গেছে। এ সময় তার মাথায় পরিহিত জলপাই রংয়ের একটি বুলেটপ্রুফ হেলমেট ও গোলাবারুদ বহনের বিশেষ বেল্ট উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো: শাহজাহান জানিয়েছেন, স্থানীয় লোকজনের খবরে পে-বল স্টোন পয়েন্ট দিয়ে সি-বিচ থেকে একটি মস্তক বিহীন লাশ উদ্ধার করা হয়।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শামীম হোসেন জানিয়েছেন, লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।
পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, নদীতে ভাসমান লাশের খবর শুনেছি তবে এসব লাশের দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে না কেউ। তবুও মানবিক দিক বিবেচনা করে এসব লাশ উদ্ধার করে দাফনের দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা উচিত। তিনি এও জানিযেছেন, গত দুদিন ধরে সীমান্ত পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত রয়েছে।
পাঠকের মতামত