আব্দুস সালাম,টেকনাফ (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের টেকনাফের নাজিরপাড়া ও নাটমোড়া এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার ৪০০ পিস ইয়াবাসহ দুইজন মাদক কারবারী আটক করেছে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা।
আটককৃত মাদক কারবারীরা হলেন,টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড নাজিরপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে ইয়াছিন (২৪) ও হ্নীলা ইউনিয়নের
নাটমোড়া পাড়ার আবুল হাসেমের ছেলে নুর হোসাইন (২২)।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও
সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া)
মোঃ আবু সালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব জানান।
তিনি জানান,শনিবার রাতে র্যাব-১৫, আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে,কতিপয় মাদক কারবারী টেকনাফ থানাধীন নাজিরপাড়া এলাকায় জনৈক এক ব্যক্তির বসত ঘরে মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, সিপিসি-১, টেকনাফ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল উক্ত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। র্যাবের অভিযানিক দলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে মাদক কারবারী ইয়াছিনকে
আটক করতে সক্ষম হয় এবং অপর দুইজন মাদক কারবারী কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তি তার নিজের নাম-ঠিকানা প্রকাশসহ পলাতক মাদক কারবারীদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে এবং তার ভাড়াকৃত বসত ঘরে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট মজুদ রয়েছে বলে স্বীকার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক আটককৃত ব্যক্তির দেহ ও তার বসত ঘর তল্লাশী করে ৬ হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া একইরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর অধিনস্থ সিপিসি-২, হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউনিয়নের নাইটমোড়াপাড়াস্থ ফুলের ডেইল রাস্তার মাথায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারী নুর হোসাইনকে
আটক করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত মাদক কারবারীরা দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশী দামে ইয়াবা বিক্রয় করে থাকে বলে জানায়। এছাড়া আটককৃত ইয়াছিন পলাতক মাদক কারবারীদের সাথে পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।
তিনি আরো জানান,উদ্ধারকৃত আলামতসহ
আটককৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত