শহিদুল ইসলাম
বাংলাদেশ-মিয়ানমারের ওপারে চলছে ব্যাপক গোলাগুলি।সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসকারী লোকজন সরে যাচ্ছে।মিয়ানমারের ছোঁড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুইজন নিহত হয়েছেন।এসময় আরো একজন গুরুতর আহত হয়।নিহত দুইজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশী।অপর জন রোহিঙ্গা।
নিহতরা হলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী হোসেনা আরা(৫০)ও উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ধলু হোসেনের পুত্র নবী হোসেন (৭৩)।সোমবার(৫জানুয়ারী)দুপুর আড়াইটার দিকে মিয়ানমারের ছোঁড়া মর্টারশেল টি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাই তলী গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরপর পুলিশ-র্য্যাব ঘটনাস্থলে যান।ঘুমধুম পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া বলেন মিয়ানমারের ছোঁড়া মর্টার শেল ের আঘাতে দুইজন নিহত হয়েছে।লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সীমান্তের পরিস্থিতি বর্তমানে খুবই থমথমে অবস্থান বিরাজ করছে। এলাকাবাসী আতঙ্কজনক অবস্থায় রয়েছে।
সকাল ১১টার দিকে মিয়ানমার থেকে উলুবনিয়া সীমান্ত পার হয়ে একটি রোহিঙ্গা পরিবার বাংলাদেশে ঢুকে পড়লে দায়িত্বরত বিজিবির সদস্যরা তাদের আটক রাখেন। স্বামী স্ত্রী ছাড়াও তাদের সঙ্গে ৩ শিশুও রয়েছে।
হোয়াইক্যং উলুবনিয়া এলাকার জালাল আহমেদ বলেন, সকাল সাড়ে দশটার দিকে মিয়ানমারের ওপারে ব্যাপক গোলাগুলি এবং বোমার শব্দ আমরা শোনতে পাচ্ছি। ভয়ে সীমান্ত থেকে লোকজন সরে যাচ্ছে। অনেকে ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
ঘুমধুম এলাকার আশরাফুল ইসলাম বলেন, গতকাল ব্যাপক গোলাগুলিতে তিনটি গ্রামের লোকজন এলাকা ছাড়া হয়েছে। সকাল থেকে আবারও গোলাগুলি চলছে।
রবিবার বিকাল চারটার পর্যন্ত ঘুমধুম -তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে ৯৫ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী হেফাজতে রয়েছে।
####
পাঠকের মতামত