আব্দুল আলীম বাহাদুর :
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গ্রুপের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। তাদের ছোড়া গুলির সিসা ও রকেট লঞ্চার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে উড়ে এসে পড়ছে। এতে ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠায় তুমব্রু গ্রামের অনেকেই এলাকা ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে গেছে। অনেকেই আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, কোনার পাড়ার বাসিন্দা প্রবীন্দ্র ধর (৫০) ও রহমা বেগম( ৪০)।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল (০৪ ফেব্রুয়ারী) রাত ২ টা থেকে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর তুমব্রু ক্যাম্প দখলে নিতে বিরতিহীন লড়াই অব্যাহত রেখেছে আরাকান আর্মি। এছাড়া ৩০ জনেরও বেশি বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে ডোকার জন্য অবস্থান নিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এদিকে ঘুমধুম সীমান্তের গুলি বর্ষনের ফলে বাইশফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষনা করেছে কর্তৃপক্ষ।
তুমব্রু হাসপাতাল পাড়ার স্থানীয় মনির আহাম্মদ বলেন, রাত থেকে অদ্যবদি পর্যন্ত মায়ানমার সীমান্তের গুলি বর্ষনের ফলে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। এবং আমাদের স্ত্রী সন্তানরাও ভয়ে আতঙ্কে আছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য দীল মোহাম্মদ জানান, ৩ গ্রামের হাজারো মানুষ গত রাত থেকে বসতবাড়ি ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। গরু, ছাগল, হাস, মুরগি ওই অবস্থায় রেখে ঘরবাড়ি ছেড়েছে। মালামাল নেওয়ার ও সুযোগ হয়নি।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানিয়েছেন, মিয়ানমারের বিজিপির কিছু সদস্যরা তুমব্রু সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশ আশ্রয় নিয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সীমান্তবর্তী স্কুলগুলো আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, সীমান্তে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রশাসন থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সীমান্তের দিকে নজর রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত