শহিদুল ইসলাম:
কক্সবাজারের উখিয়ার সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)র মহাপরিচালক
মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান।এসময় তিনি সকলের সাথে কৌশল বিনিময় করেন।এরপর মিয়ানমারের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।
রবিবার(২৮জানুয়ারী)দুপুরে উখিয়ার আন্জুমান পাড়া সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
গতকাল রাত পর্যন্ত উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন জায়গায় নয়টি গোলা এসে পড়ে।এরপর থেকে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী লোকজনের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে।গত কয়দিন ধরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি আরাকান আর্মি ও বিজিপি সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে।এতে হতাহত হচ্ছে অনেকেই।উখিয়া ও টেকনাফের দুই সীমান্ত ইউনিয়ন হোয়াইক্যং ও পালংখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ভারী মর্টার শেল ও গুলির শব্দ শুনা যাচ্ছে। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী গ্রামবাসীরা এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী বলেছেন, গতকাল (২৭ জানুয়ারি) আমি নিজেও গুলির আওয়াজ শুনেছি। আমার এলাকার একটি ঘরেও গুলি এসে পড়েছে। আমরা খবরাখবর নিয়েছি। সীমান্ত এলাকার মানুষজন এখন অনেক আতঙ্কে আছে।
সীমান্তবর্তী এলাকার লোকজন বলেছেন সন্ধ্যার পর থেকে ব্যাপক গোলাগুলি ও বিকট আওয়াজ শুনতে পায়।ছোট বাচ্চারা ভয় ঘুমাতে পারে না।শুনেছি সীমান্তের ও ওপারে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন জড়ো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উখিয়ার সীমান্তবর্তী পালংখালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন গতকালের তুলনায়(আজ)কম।তবে মিয়ানমারের অভ্যন্তরের হেলিকপ্টার টহল দিতে দেখা গেছে।
টেকনাফ-২ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, প্রতিবেশী দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলমান থাকায় মিয়ানমার সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার আছে এবং এখন সীমান্তের কাছাকাছি সংঘর্ষ চলছে বলে তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সাংবাদিকদের বলেছেন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘাত বন্ধ করে অস্ত্রবিরতির জন্য চীন মধ্যস্থতা করছে। রাখাইনে অস্ত্রবিরতি প্রতিষ্ঠা হলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আবার আলোচনার পথ সুগম হবে।
৩৪ বিজিবির অধিনায়ক কর্নেল সাইফুল ইসলাম মুঠোফোন রিসিভ না করার কারনে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন বলেন, গুলাগুলির খবর শুনার পর থেকেই ইউএনও টেকনাফ এবং টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খবরাখবর নিচ্ছেন। এছাড়া বিজিবির বাড়তি নজরদারি সেখানে জোরদার করা হয়েছে।
দুপুর দেড়টার দিকে উখিয়ার সীমান্ত এলাকা ত্যাগ করে টেকনাফের উদ্দেশ্য রওনা দেন।
#####
পাঠকের মতামত