নিজস্ব প্রতিনিধি।
রোহিঙ্গা পরিচয় গোপন রেখে রহমান উল্লাহ যোগদেন মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে। নিজেকে কখনও অনলাইনে পন্য বিক্রেতা, আবার অনেক সময় পরিচয় দিতেন মাওলানা হিসেবে। রহমত উল্লাহর দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে র্যাব। র্যাবের দাবি, দুই সহযোগী মনজুর আলম এবং নূরুল ইসলাম, আরসা লজিস্টিক কমান্ডার রহমান উল্লাহ নির্দেশ মেনে বিস্ফোরক ও বোমা সহ সরঞ্জাম কাম্পে পৌঁছে দিতো।
রবিবার দুপুরে র্যাব সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান র্যাব অধিনায়ক। তিনি জানান, ক্যাম্পে বড় ধরনের নাশকতা এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর উপর হামলা করাই ছিল আরসার এই কমান্ডারের পরিকল্পনা। র্যাব রহমত উল্লাহর ভাড়া করা বাসা থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জাম, হাত বোমা, মাইন, ইলেকট্রিক সার্কিট, সেনাবাহিনীর পোশাক ওয়াকিটকিসহ আরো বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করে।
এদিকে ভোর থেকে র্যাব আদর্শগ্রামে আরসার লজিস্টিক কমান্ডারের আস্তানা ঘিরে রাখে। মূলত আর্দশগ্রাম এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় রহমত উল্লাহ আস্তানা গেড়ে রেখেছিলো বলে দাবি র্যাবের। এলাকাবাসী জানান, পরিচয় গোপন রেখে রহমত উল্লাহ আদর্শ গ্রাম এলাকায় বসবাস করতো।
এ পর্যন্ত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার বিভিন্ন পর্যায়ের ৮৩ জন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
পাঠকের মতামত