আব্দুস সালাম,টেকনাফ (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা এবং বান্দরবানের আলীকদম এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ৬০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা। এসময় দুইজন মাদক কারবারীকে আটক করা হয়।
আটককৃত মাদক কারবারীরা হলেন,বান্দরবান জেলার আলীকদম সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড
খুইল্ল্যা মিয়া পাড়ার ফরিদুল আলমের মেয়ে ও
নুরুল ইসলামের স্ত্রী রুমা আক্তার (৩০) এবং হ্নীলা
আলীখালী ২৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-ডি/৬
এর বাসিন্দা মৃত জাফর আহাম্মদের ছেলে নূর মোহাম্মদ(২৪)।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও
সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া)
মোঃ আবু সালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে
র্যাব-১৫, আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, বান্দরবান জেলার আলীকদম থানাধীন আলীকদম সদর ইউনিয়নের খুইল্ল্যা মিয়া পাড়া এলাকার রুমা আক্তার এর বসত ঘরের ভিতর কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা টেবলেট ক্রয়-বিক্রয় কিংবা অন্যত্র চালানের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, সিপিএসসি এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। আভিযানিক দল উক্ত স্থানে পৌঁছালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালানোর চেষ্টাকালে রুমা আক্তার নামে একজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত মাদক কারবারী তার সাথে থাকা অপর দুই সহযোগীর নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে এবং সে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে দ্রুত পালিয়ে যায় বলে স্বীকার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক আটককৃত মাদক কারবারীকে তল্লাশী করে তার হেফাজত থেকে মোট ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও অপরদিকে টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ৮টার দিকে র্যাব-১৫, সিপিসি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৩০ হাজার পিস ইয়াবাসহ নূর মোহাম্মদ নামে এক রোহিঙ্গা মাদক কারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। উল্লেখ্য, র্যাব-১৫ এর পৃথক দু’টি অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ৬০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ মাদক কারবারীকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটককৃত মাদক কারবারীরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য পাশ্ববর্তী সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে নিজেদের হেফাজতে মজুদ করতো। পরবর্তীতে তা স্থানীয় এলাকা ও কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে তাদের নির্ধারিত এজেন্টদের মাধ্যমে বিক্রয় করে মাদক সেবনকারীদের নিকট পৌঁছে দিতো এবং মাদক পাচারে অবলম্বন করতো অভিনব পদ্ধতি।
তিনি আরো জানান, আটককৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত