মোহাম্মদ ইমরান:
কক্সবাজার উখিয়ায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্কাস’র পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে উন্নয়ন মূলক নাটক (বাঁচতে হবে) প্রদর্শিত হয়েছে ।
গত (১০ ডিসেম্বর) রবিবার সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা “স্কাস” উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড ঘাঁটি পাড়া গ্রামে কিশোর কিশোরী, যুবক যুবতী ও তাদের পিতা-মাতা’সহ এলাকার অন্যান্য মানুষজনের সাথে এক জনসচেতনতা মূলক আলোচনা সভা এবং উন্নয়ন মূলক নাটকের আয়োজন করেন।
তারই ফলশ্রুতিতে সোমবার একই ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের চৌধুরী পাড়া, ক্লাসপাড়া এবং বড়বিল গ্রামে আরও তিনটি নাটক অনুষ্ঠিত হয়।
স্কাস সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্যগত উন্নয়নের মাধ্যমে কক্সবাজারের (স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও রোহিঙ্গা) কিশোরী এবং নারীদের ক্ষমতায়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্লোবাল এফিয়ার্স কানাডা’র অর্থায়নে, প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কারিগরী সহায়তায়, সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) লিপ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
লিপ প্রকল্পের কিশোরী দলের ফাতেমা বলেন, আমরা “স্কাস” সিওসি গ্রুপের ৮ টি অধিবেশন থেকে জানতে পেরেছি, শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক, যৌন নির্যাতন ও মহিলাদের পিরিয়ডের সময় স্যানেটারি প্যাড কিংবা সুতির সাদা কাপড় ব্যবহার এবং বয়স সন্ধিকালে শারিরীক, মানসিক পরিবর্তন সম্পর্কে আমরা এখন অনেক বেশি সচেতন।
স্কাসের প্রকল্প সমন্বয়কারী তরিকুল ইসলাম জানান, “স্কাস”র লিপ প্রকল্পটি যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার, লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা, লিঙ্গ-সমতা, বাল্য বিবাহ, মানসিক স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, জীবন দক্ষতা বিষয় নিয়ে জালিয়াপালং ও হলদিয়াপালং ইউনিয়ন, ক্যাম্প-১ডাব্লিউ, ৩, ৪ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাথে জনসচেতনতা-বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, নিশ্চয়ই আপনারা জানেন, স্কাসের চেয়ারম্যান একজন নারী। তাই নারীর উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি বহুদিন ধরে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করে আসছেন। বিশেষ করে কক্সবাজারে নারীর উন্নয়ন নিয়ে এখন অব্দি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তাই, নারীর উন্নয়নে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।
পাঠকের মতামত