উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি::
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আরএসও)মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে অন্তত কয়েক শ রাউন্ড গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাতে উখিয়ার ৮ নম্বর বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডব্লিউ এলাকা ও বুধবার ভোরে ১৫ নম্বর জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই সংঘর্ষ হয়।
নিহতরা হলো উখিয়ার ৯নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইয়াসিনের ছেলে ইউনুস প্রকাশ চাকমা ইউনুস(৩২)। তাঁর বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় তিনটি হত্যা মামলা রয়েছে। অপরজন হলেন উখিয়ার ১৫ নম্বর জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ইমান হোসাইনের ছেলে আরাফাত হোসেন(১৫)। এ ঘটনার পর থেকে পুরো রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ক্যাম্প প্রশাসনের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বর্তমানে ক্যাম্প অভ্যন্তরের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণ রোহিঙ্গারা বলেছেন এদের কারনে ক্যাম্পে বসবাস করতে পারছি না।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক মোহাম্মদ ইকবাল সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার রাতে ৮ নম্বর ক্যাম্পের ডব্লিউ এলাকায় আরসা ও আরএসওর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আরএসওর ছোঁড়া গুলিতে আরসার কিলিং গ্রুপের শীর্ষ কমান্ডার চাকমাইয়া ইউসুফ গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে জবাই করে হত্যা করা হয়।
৮-এপিবিএন অধিনায়ক আমির জাফর জানিয়েছেন , এই ঘটনার জেরে আরসার সদস্যরা বুধবার ভোরে ১৫ নম্বর ক্যাম্পে আরএসওর ওপর হামলা চালায়। এ সময় আরাফাত নামে আরএসওর এক সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে আরসা সদস্যরা।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।এখনো পর্যন্ত কেউ মামলা রুজু করেনি।
পাঠকের মতামত