ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩ ৩:১৭ পিএম , আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩ ৬:২৮ পিএম

পলাশ বড়ুয়া ॥
কক্সবাজার উখিয়ার উপকূলে ইকো ক্রিটিক্যাল জোনে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। এসব স্থাপনা ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি অসাধু চক্র। মানা হচ্ছে না পরিবেশ ও ইমারত আইন। যার ফলে প্লাষ্টিক ও অপচনশীল বর্জ্যরে কারণে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভের পশ্চিমাংশে ছোট-বড় এরকম একাধিক স্থাপনার চিত্র। এসব প্রতিষ্ঠানের বর্জ্যরে কারণে দিন দিন দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আইন-কানুনের তোয়াক্ষা না করে সৈকতে এসব স্থাপনা নির্মাণ করছে রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডের মালিক শফিকুর রহমান। তিনি এসব দোকান প্রতি ২/৩ লক্ষ টাকা করে আদায় করছে এমনটি জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দোকানদার। সেই সাথে দোকান প্রতি মাসিক ২ হাজার টাকা ভাড়াও দিতে হয়।

এ বিষয়ে জানতে স্থাপনা নির্মাণকারী শফিকুর রহমানের সাথে তার ব্যবহৃত ০১৭১১২১৭৯৬৬ নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) উখিয়া শাখার সভাপতি আয়াজ রবি বলেছেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে স্থাপনা নির্মিত হলে সৌন্দর্য্য নষ্টের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে। দ্রুত এসব স্থাপনা উচ্ছেদের দাবী জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। অন্যথায় সাংগঠনিক ভাবে কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।

উখিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২০১০ সালে মেরিন ড্রাইভ সড়কের পশ্চিমপার্শ্বে রেজু ব্রীজ থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ইকো ক্রিটিক্যাল এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। যদি কোন জোত জায়গা থেকে থাকে তাহলে পরিবেশের ছাড়পত্র নিয়ে করতে হবে।

তিনি এও বলেছেন, সরকারি নিয়ম-কানুন কেবল কাগজে আছে, বাস্তবে এর দেখা মেলে না। সৈকতের নিষিদ্ধ জোনে এভাবে স্থাপনা নির্মাণ হলে পুরো উপকূল অবৈধ দখল হতে বেশিদিন সময় লাগবে না। সেই সাথে পরিবেশের মারাত্মক ভাবে বিপর্যয়ের আশংকা রয়েছে।

উখিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো: জাহাঙ্গীর আলম, ভৌগলিক কারণে এই অঞ্চলের মানুষ একটি পরিবেশগত ঝুঁকিতে রয়েছে। তৎমধ্যে সৈকত এ ধরণের স্থাপনা নির্মাণ উচিত হচ্ছে না। এ ব্যাপারে দ্রুত আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: সালেহ আহমদ বলেছেন, সৈকতে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণে বিধি নিষেধ রয়েছে। যদি ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি হয়, তাহলে পরিবেশ আইন মেনে অস্থায়ী ভাবে স্থাপনা করা যেতে পারে।

তিনি আরো জানিয়েছেন, সৈকতের ওই স্থানে ইতোপূর্বে ইউএনও স্যারসহ কয়েকবার এসব স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। নতুন করে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত

ঘটনাপ্রবাহঃ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা!

সাবেক এমপি জাফরসহ ৯৫ জনের বিরুদ্ধে বিষ্ফোরক আইনে পেকুয়া থানায় মামলা

         মুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়া.. কক্সবাজারের পেকুয়ায় চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাবেক এমপি জাফর আলমসহ ৩৫ জনের নাম ...

প্রথমবারের মত উপ-উপাচার্য পেল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

         সাঈদ পান্থ, বরিশাল প্রথমবারের মত উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) পেল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ...

তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের আর্থিক ক্ষমতা না থাকায় উন্নয়ন কাজে বন্ধ্যাত্ব বিরাজ করছে

           নির্মল বড়ুয়া মিলন :: তিন পার্বত্য জেলা (রাঙামাটি খাগড়াছড়ি, বান্দরবান) পরিষদ পরিচালনার জন্য এসব ...