মুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়া:
বুধবার রাত ১০টা। বাড়ির সেফটিক ট্যাংক পরিস্কার করতে যান দুই ভাই শাহাদাত হোসেন ও শহিদুল ইসলাম। প্রথমে সেফটিক ট্যাংকের ভিতর প্রবেশ করেন বড় ভাই শাহাদাত হোসেন। ট্যাংকের ভিতর প্রবেশ করার সাথে সাথে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তাকে উদ্ধার করেত নামেন ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম। এসময় ছোট ভাইও অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান।
অনেকক্ষণ ধরে দ্ইু ভাইয়ের কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে বাবা আনোয়ার হোসেন ঘর থেকে বের হয়ে সেফটিক ট্যাংকে দেখতে যান। ওই সময় তাদের কোন সাড়া না পেয়ে তিনিও সেফটিক ট্যাংকে নেমে যান। তিনিও অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরিবার লোকজন সেফটিক ট্যাংকে বাবা-ছেলেদের পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজনদের খবর দেয়।
পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই ভাইকে মৃত ঘোষনা করেন। এসময় আশংকাজনক অবস্থায় বাবাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে তিনিও মারা যান।
নিহতরা হলেন- ওই এলাকার আনোয়ার হোসেনের (৭০) ছেলে শহিদুল ইসলাম (১৯) ও শাহাদাত হোসেন (৪৮)।
বিএমচর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, বাবা আনোয়ার হোসেনসহ তার দুই ছেলে বাড়ির সেফটি ট্যাংক পরিস্কার করতে গিয়ে ট্যাংকের বিষাক্ত গ্যাসে তারা তিনজন অসুস্থ হয়ে যায়। একই পরিবারের বাবা- দুই সহোদরের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রশাসনে অনুমতি নিয়ে বিকালে জানাজা শেষে তাদের দাফন করা হবে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক। সেফটিক ট্যাংক পরিস্কার করতে গিয়ে বাবা ও দুই ছেলে মারা গেছে। পরিবারের অনুরোধের প্রেক্ষিতে তাদের দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত