কাপ্তাই(রাঙামাটি) প্রতিনিধি
কাপ্তাই সেনা জোন ও কাপ্তাই থানা পুলিশ কর্তৃক গত মঙ্গলবার (২৭ জুন) রাত প্রায় ১০ টায় যৌথ অভিযান চালিয়ে গরুর ট্রাক এবং অন্যান্য যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি করার সময় দুই সশস্ত্র চাঁদাবাজকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো, বাসি মং মারমা (৪৫) ও অংসি মং মারমা (৩৫)। তারা উভয়ে উপজেলার চন্দ্রঘোনা থানাধীন কারিগর পাড়া এলাকার বাসিন্দা। আটক সন্ত্রসীরা জেএসএসের (মূল) কালেক্টর বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পাওয়া যায় যে, কাপ্তাই উপজেলার বালুচরা ষ্টিল ব্রিজের পার্শ্বের নির্জন এলাকায় কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়ক দিয়ে লিচুবাগান অভিমুখে চলাচলরত যানবাহন আটকিয়ে ৫-৬ জন সশস্ত্র ব্যক্তি চাঁদা আদায় করছে।
এসময় কাপ্তাই জোন থেকে ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ ফারুকের নেতৃত্বে একটি টহল দল এবং কাপ্তাই থানা থেকে ওসি জসিম উদ্দিনে নেতৃত্বে পুলিশের অপর একটি টহল দল যৌথভাবে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে সশস্ত্র দুই ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয়। যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য ৩-৪ জন পাহাড়ি সন্ত্রাসী পালিয়ে যায়।
আটককৃতদের কাছ থেকে চাঁদাবাজিতে ব্যবহৃত ১টি এলজি, ৩ রাউন্ড কার্তুজ, ২টি মোবাইল ফোন ও চাঁদার নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। সূত্র জানায়, বাসি মং মারমা এর আগেও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জেএসএসের (মূল) হয়ে চাঁদাবাজি করার সময় আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে এক বছর কারাভোগ করে। তার বিরুদ্ধে দু’টি হত্যা মামলা রয়েছে। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের উল্লেখিত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠনটি বাৎসরিক চাঁদা আদায়ের নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করে সাধারন মানুষের জীবন অতিষ্ট করে তুলছে বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।
চাঁদাবাজির ব্যাপারে কাপ্তাই জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মোঃ নূর উল্ল্যাহ জুয়েল, পিএসসি বলেন, চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রনে কাপ্তাই জোন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
এদিকে, সশস্ত্র ২ সন্ত্রাসী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জসীম উদ্দীন জানান, আটককৃতদের বুধবার সকালে রাঙামাটি জেলা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত