কাপ্তাই প্রতিনিধি ::
কাপ্তাই সেনা জোনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল কাপ্তাই ও রাজস্থলী উপজেলার ব্যবসায়ীদের সাথে এক মতবিনিময় সভা। মতবিনিময় সভায় কাপ্তাই সেনা জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মোঃ নুর উল্লাহ জুয়েল, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় কাপ্তাই সেনা জোনের আওতাধীন কাপ্তাই ও রাজস্থলী উপজেলাধীন সকল কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি, পরিবহন মালিক সমিতি, সিএনজি, ট্রাক, মিনিট্রাক ও চাঁন্দের গাড়ি মালিক সমিতি, বাজার পরিচালনা কমিটি, মৎসজিবী সমিতির প্রতিনিধি এবং স্থানীয় সকল ব্যবসায়ীরা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কাপ্তাই সেনা জোনের জোন কমান্ডার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সাথে কুশলাদী বিনিময়ের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া কাপ্তাই এবং রাজস্থলী উপজেলা থেকে আগত ব্যবসায়ীগন পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা ও চাঁদাবাজি নিয়ে মতবিনিয় করেন। জোন কমান্ডার ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কাপ্তাই জোনের দায়িত্বপূর্ন এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজিসহ যেকোন ধরনের অপতৎপরতা রোধে কাপ্তাই সেনা জোন সব সময় আপনাদের পাশে রয়েছে।
তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র সংগঠনগুলো চাঁদাবাজি করে সংগ্রহকৃত অর্থ দিয়ে সমরাস্ত্র ক্রয় করে দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী ব্যক্তিগত লাভের আসায় গোপনে সশস্ত্র গ্রুপ গুলোকে চাঁদা দিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকান্ডে সহায়তা করছে। জোন কমান্ডার তাদেরকে হুঁশিয়ার করে বলেন, যে সকল ব্যবসায়ী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিয়ে সহায়তা করে থাকে মদদদাতা হিসেবে তারাও দেশের শত্রু। যদি কোন ব্যবসায়ী অথবা ব্যক্তির বিরুদ্ধে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চাঁদা দেওয়ার ব্যাপারে তথ্য প্রমান পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আঞ্চলিক সশস্ত্র গ্রুপ গুলোর চাঁদাবাজি রোধে স্থানীয়ভাবে সমন্বিত প্রতিরোধ গড়ে তুলার পাশাপাশি সশস্ত্র চাঁদাবাজদের অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য দ্রুত নিকটবর্তী সেনা ক্যাম্পে পৌছানোর ব্যাপারে জোন কমান্ডার সকলের প্রতি অনুরোধ করেন।
জোন কমান্ডার আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের কিছু স্বার্থান্বেষী মহল পার্বত্য চট্টগ্রামের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার জন্য গোপনে চেষ্টা চালাচ্ছে। সেনাবাহিনী দেশের স্বার্বভৌমত্বের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন কর্মকান্ড চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর বলে তিনি জানান।
পাঠকের মতামত